১৯৩৭ এ দাদা কেষ্টর হাত ধরে ওড়িশার জাজপুর থেকে কাজের সন্ধানে কলকাতায় এসেছিলেন ভাস্কর সেনাপতি , ব্রিটিশ আমল , তখন মোহনবাগানের হেড মালি ছিলেন গঙ্গা , সতের বছরের ভাস্করের কাজ জুটলো গঙ্গার চেলা হিসেবে , মাইনে ১৪ টাকা , তারপর ভাস্কর থেকে কেমন ভাবে যে নামটা ভাসিয়া হয়ে গেলো , তা নিজেও জানেন না ভাস্কর সেনাপতি ,
সেই ত্রিশ দশক থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত মোহনবাগানের হেড মালি ছিলেন ভাসিয়া ...ষাট বছর ধরে কয়েক হাজার ফুটবলার কে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন ভাসিয়া . কিন্তু সবার মধ্যে তাঁর অন্যতম প্রিয় ফুটবলার এবং পছন্দের মানুষ ছিলেন গোষ্ঠ পাল , ...শুধু মোহনবাগানের সেবা করতে পারবেন না বলে স্টেট ব্যাংক আর ব্রুক বন্ডের দু -দুটো চাকরী পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলেন ভাসিয়া , যেদিন মোহনবাগান কোনো খেলায় হেরে যেতো সেরাতে ভাসিয়া উপোস করে থাকতেন -- ৭৫-এর শিল্ডে ইস্টবেঙ্গলের কাছে মোহনবাগান পাঁচ গোলে হেরে যাবার পর তিন দিন খাবার স্পর্শ করেননি ভাসিয়া , ওড়িশাতে নিজের পরিবার থাকা স্বত্যেও বাড়িতে যেতে চাইতেন না , ভাসিয়া বলতেন "মোহনবাগানই আমার পরিবার , আমার ঠিকানাও মোহনবাগান " ভোটার লিস্টে ভাসিয়ার নামের পাশে ঠিকানার জায়গায় লেখা থাকতো মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব , ভাসিয়া চেয়েছিলেন মোহনবাগান সংসারে মৃত্যু পর্যন্ত থেকে যেতে, যাতে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ঠিকানা লেখা থাকবে "কেয়ার অফ মোহনবাগান " ----
Debu Datta
No comments:
Post a Comment