Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Thursday, May 26, 2016

প্রত্যেকটা ম্যাচই শেষ ম্যাচ ভেবে নামি:‌ দেবজিৎ | আজকাল

মুনাল চট্টোপাধ্যায়: গত আই লিগে সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছিলেন দেবজিৎ মজুমদার। কোচ সঞ্জয় সেনের মতো উত্তরপাড়ার দেবজিতেরও এবার প্রচণ্ড আক্ষেপ ছিল মোহনবাগানকে আই লিগ দিতে না পারায়। ফেডারেশন কাপ জিতে সেই দুঃখ কিছুটা ভুলেছেন। তবে কোচের মতো তাঁরও প্রতিজ্ঞা আই লিগটা আবার পেতেই হবে। ফেডারেশন কাপ জেতার পর সদস্য–সমর্থকদের প্রবল উন্মাদনা, কর্তাদের সংবর্ধনায় আল্পুত দেবজিৎ এখনও একটা ঘোরের মধ্যে আছেন।
তবে অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া বাগানের গোলকিপার দ্রুত বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে চান। কয়েকদিনের ছুটি কাটিয়ে প্র‌্যাকটিসে নেমে পড়তে চান ব্যক্তিগত উদ্যোগে। নতুন মরশুমে অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতায় খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেখানেও তাঁর সঙ্গী শিলটন। দেবজিৎ বিলক্ষণ জানেন, বাগানের মতো এ টি কে–‌তেও তাঁকে শিলটনের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকতে হবে। তবে এনিয়ে চিন্তিত নন। সাফ বলেই দিলেন, ‘মোহনবাগানে শিলটনদা আছে ভেবে কখনও চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাইনি। বরং এটুকু জানতাম, সুযোগ পেলে ভাল খেলে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেব। মাঠে নেমে সবসময় সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি। সবসময় মাথায় নিয়েই খেলতাম, এটাই আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে বাজে খেললে। শিলটনদার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। টিপস পেয়েছি। ফেডারেশন কাপ জয়ের পর শিলটনদা অভিনন্দন জানিয়েছে। এখন এ টি কে–‌তে শিলটনদা আর আমি একসঙ্গে থাকব। আমি যদি ভাল খেলি, নিশ্চয়ই বসতে হবে না।’ গত মরশুমে আই লিগে প্রথম দুটো আর শেষ তিনটে ম্যাচ ছাড়া সব ম্যাচে খেলেছিলেন দেবজিৎ। শেষদিকে চোট পাওয়ায় বেঙ্গালুরু এফ সি–‌কে হারিয়ে আই লিগ জয়ের দিনে মাঠে থাকতে পারেননি। ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। তাই এবার আই লিগের সব ম্যাচ খেলার কান্ডারি গোলের নিচে মস্ত ভরসা মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন আই লিগ ট্রফিটা ছুঁতে। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই জেদ চেপে গিয়েছিল ফেডারেশন কাপ জিতে সেই আপশোস মেটাতে হবে। দেবজিৎ বললেন, ‘আই লিগের পরেই সঞ্জয় স্যর (‌কোচ সঞ্জয় সেন)‌ আমাদের সবাইকে ডেকে বলেছিলেন, এটাই আমাদের ট্রফি জয়ের শেষ সুযোগ। সেটা হাতছাড়া করা যাবে না। আই লিগে দারুণ খেলেও তো হাত খালিই থাকল। এমন ভাল খেলার মূল্য কী, যদি ট্রফি না আসে। এটাই চাগিয়েছিল আমাদের। আবার ভারত সেরা হয়ে তৃপ্ত।’ অনেকে বলছেন, বেঙ্গালুরু এফ সি ও ইস্টবেঙ্গল না থাকায় ট্রফি জয়টা কেক ওয়াক হয়েছে মোহনবাগানের। এটা নিয়ে কী বলবেন? দেবজিতের প্রতিক্রিয়া, ‘কে কী বলল কিছু আসে যায় না। আই লিগে গত দুবছরে বেঙ্গালুরু একবারও আমাদের হারাতে পারেনি। এবার ওদের মাঠে ২ আর শিলিগুড়িতে ৫ গোলে হারিয়েছি। বেঙ্গালুরু আর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ফেডারেশন কাপে দেখা হলে কী হত সেটা খেলা হলেই বোঝা যেত। আমরা মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম। দিনের শেষে এটাই বাস্তব সত্যি, আমরা ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন।’ মোহনবাগানে আসার আগে কখনও প্রচারের আলোয় ছিলেন না। বরং আপনার দিকে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে কলকাতা লিগে এরিয়ান ম্যাচে চার গোল খাওয়ার জন্য আঙুল উঠত। সেখান থেকে এই চমকপ্রদ উত্থান সম্ভব হল কীভাবে? কার সাহায্য ও প্রেরণা কাজ করেছে? দেবজিতের জবাব, ‘আমি যখন ইস্টবেঙ্গলে এসেছিলাম, তখন বড় দলে ছিলাম নতুন, অপরিণত। একটা ব্যর্থতায় ভেঙে পড়িনি। বরং নিজেকে মনে মনে বলেছিলাম, হারলে চলবে না। হার্ড ওয়ার্ক করে ফিরে আসবই। তখন পাশে পেয়েছিলাম মা (‌অর্চনা দেবী)‌, নেতাজি ব্রিগেড ক্লাবে আমার অভিভাবক সঞ্জয় চক্রবর্তী, দুই কোচ অনুপ নাগ ও রাজু এক্কাকে। ইস্টবেঙ্গল থেকে ভবানীপুরে এসে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর কাজটা শুরু করি। মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার পর এটাই ভেবে নিয়েছিলাম, এখানে ভাল খেলতে না পারলে, আর কেউ ফিরেও তাকাবে না। গোলকিপার কোচ অর্পণদা, সতীর্থ ফুটবলার, কোচ, কর্তাদের উৎসাহ কাজে লেগেছে। সেরা দিতে চেষ্টা করেছি।’ আই লিগে সেরা ম্যাচ কোনটা? দেবজিতের মতে, সেভাবে ভেবে দেখিনি। তবে ঘরে ও বাইরে স্পোর্টিং ক্লাব দ্য গোয়া আর ঘরের মাঠে মুম্বই এফ সি ম্যাচ দুটোয় বেশ কিছু সেভ করতে হয়েছিল। একইসঙ্গে একটা কষ্ট রয়েই গেছে লাজং ও শিবাজিয়ান্স ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শেষমুহূর্তে গোল খাওয়ায়। আমি আর একটু ভাল খেলতে পারলে হয়ত দুটো ম্যাচ আর আই লিগটা জিততাম।’ জাতীয় দলে ডাক পেয়েও ফেডারেশন ও বাগান কর্তাদের বিভ্রান্তিতে দেবজিতের শিবিরে যোগ দেওয়া হয়নি। তবে এ নিয়ে ভাবতে চান না দেবজিৎ। বলেন, ‘ভাল খেললে নিশ্চয়ই আবার ডাক পাব।’ আপাতত লক্ষ্য এ টি কে–‌র জার্সি গায়ে সেরা দেওয়া। আই লিগ, ফেডারেশন কাপের পর আই এস এলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সেরা গোলকিপারের স্বীকৃতি পাওয়াই লক্ষ্য। তাই মনে যা–‌ই থাক, নতুন মরশুমে পুরনো ক্লাব মোহনবাগানে থাকবেন, না ইস্টবেঙ্গলের আকর্ষণীয় প্রস্তাবে সাড়া দেবেন, তা নিয়ে একটা কথাও বলতে চাননি। আসলে শিলটন ইস্টবেঙ্গলে  যান কিনা সেটাই হয়ত দেখতে চান দেবজিৎ।

1 comment:

  1. Do you want to cash bitcoin in Bithumb? Are you looking for the remedies to deal with such problems that occur abruptly and disturb the functioning of Bithumb? If yes, reaching Bithumb customer support 1888-764-0492 is the prudent decision. The team is always there to help you out irrespective of the situation and error. You get on the spot results and remedies from the skilled professionals in short-span of time.
    Bithumb wallet support bitcoin cash
    Will Bithumb.info support segwit2x
    Does Bithumb wallet support bcc
    Bithumb support center
    Bithumb support litecoin
    Bithumb support bcc
    Does Bithumb.info support ethereum
    Bithumb.info fork support
    Bithumb wallet support phone number
    Bithumb support companies
    Bithumb support btg
    Bithumb.info support bitcoin cash

    ReplyDelete