ড্রেসিংরুমে দলবদলের হাওয়াকে থামানোর চেষ্টায় নামলেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন৷ নিজস্ব অবস্থান পাল্টে৷ গত দেড় বছর ধরে মোহনবাগানে ইউবি টাকা দিচ্ছে না, তাই প্রতি মাসেই ফুটবলারদের বেতন পাওয়া নিয়ে টালবাহানা৷ আগামী দিনের চিত্রটাও মোটেই পরিষ্কার নয়, তাই অনেক ফুটবলারের মনেই দলবদলের ভাবনা৷ সঞ্জয় সেই ভাবনাতেই জল ঢালতে চাইছেন৷
মঙ্গলবার সকালে টিমের জিম-সেশন শেষ করে ফেরার পথে সঞ্জয় বললেন, 'আমি কোনও ফুটবলারের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো অপছন্দ করি৷ কারও চোট থাকলে শুধু তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখি৷ এ জন্য অনেকে আমায় উন্নাসিক বলেন৷ কিন্ত্ত আমার এথিকস এটাই৷' এ বার কিন্ত্ত ফেডারেশন কাপ জেতা আর এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে সঞ্জয় নিজের অবস্থান বদলেছেন৷ তাঁর কথায়, 'আমি ফুটবলারদের বলছি, এই ক্লাব ছাড়ার কথা ভেবো না৷ এত ভালো পরিবেশ কোথাও পাবে না৷ গত বছর শেহনাজ আর বেলো টিম ছেড়েছিল৷ কিন্ত্ত ওরা মোটেই ভালো ছিল না৷'
বাগান কোচ বলে চলেন, 'এখানে ফুটবলারদের মধ্যে বন্ডিংটা ভালো৷ আমিও সকলকে বুঝি৷ওরাও আমায় বোঝে৷ বলতে পারেন, এ ব্যাপারে আমি সৌভাগ্যবান৷ আর তাই মরসুম শেষেও টিমটা আজ ভালো জায়গায়৷ ফেডারেশন কাপ জিতলে তবেই এটা সার্থকতা পাবে৷'
সামনে আর দুটো হার্ডলস৷ ফেডারেশন কাপ ফাইনাল৷ আর এএফসি কাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল৷ দুটোতেই টপকে মরসুম শেষ করতে চান সঞ্জয়৷ আইজল এফসি আর ট্যাম্পাইন্স রোভার্সকে হারানোর জন্য মোহনবাগান টিমের সামনে বড় ধাক্কা হয়ে উঠতে চলেছে দলবদলের হাওয়া৷ প্রথম সারির ফুটবলাররা মরিয়া হয়ে উঠেছেন আইএসএলের টিম খুঁজতে৷ বাকিদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে নেমে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরু এফসি, শিবাজিয়ান্স, সালগাওকরের মতো টিম৷ কোচের দাওয়াইয়ে কিনা স্পষ্ট নয়, ফুটবলাররা অন্য ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও জানা গিয়েছে, ২৪ মে-র আগে কেউই কোনও জায়গায় চড়ান্ত কথা বলবেন না৷ সোমবার ক্লাব তাঁবু ছাড়ার আগে লুসিয়ানো বলে গেলেন,
'দলবদলের ভাবনাটা মাথায় নিচ্ছি না৷ ফেডারেশন কাপ জিতলে, তখন টিম পাওয়ার কোনও সমস্যা হবে না৷ সাফল্যটা তাই আগে আসা দরকার৷'
No comments:
Post a Comment