কলকাতার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি নিয়ে আমি যা বলেছিলাম তা অনেকেই জেনে গিয়েছেন। এখানে তা আর এক বার ছোট করে বলে নিই। তবে এটা যেন ধরে নেবেন না যেন আমরা ম্যাচটা হারায় এখন দোষারোপের পালা শুরু করেছি। মনে রাখবেন এই ডিএল মেথডের সুবিধা কিন্তু আমার পুণে টিমও পেয়েছে। তখন আমরা জিতেছিলাম হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। তাই জেতা, হারা যাই হোক না কেন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি নিয়ে আমার প্রতিবাদ থাকবেই।

আমার মতে, ডিএল মেথড মোটামুটি ঠিক হলেও একদম নিখুঁত নয়। আর সেই মোটামুটি ঠিকটাও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের জন্য এটা মোটেও ঠিক পদ্ধতি নয়। কারণ টি-টোয়েন্টিতে সময়টা এত কম যে, ফর্মুলার মধ্যে ক্রিকেটের নানা উত্থান-পতন হিসেবে রাখা সম্ভব নয়।
উদাহরণ হিসেবে বলি, কলকাতার বিরুদ্ধে যখন বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়, আমাদের তিন ওভার বাকি ছিল। আমরা সেই তিন ওভার থেকে কমপক্ষে ২০ রান করতে পারতাম। কিন্তু যে মুহূর্তে সেই সুযোগ আমরা হারালাম তখন থেকেই কিন্তু কাজটা কঠিন হয়ে দাঁড়াল। ক্রিকেটে একটা শর্ট ফর্ম্যাটের খেলায় যখন আপনি টার্গেট জেনে গিয়েছেন এবং পাওয়ার প্লে-র সুবিধা রয়েছে সেখানে টিমের বোলড-আউট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এক কথায় অসম্ভব। তাই কলকাতা ঝুঁকি নিতে পেরেছিল। যে টিম পরে ফিল্ডিং করে এই নিয়মটা তাদের জন্য কোনও সুবিধাই করে না।
শনিবারের পিচও খুব একটা সহজ ছিল না, স্লো টার্নার, আমার মতে ১৩৫-১৪০ এ ধরনের পিচে একটা লড়াই করার স্কোর। কলকাতার ব্যাটিংয়ের সময় প্রথম ওভারেই ওদের দু’উইকেট পড়ে যাওয়া এটাই প্রমাণ করে ওই পিচে পুরো ওভার ব্যাট করা কত শক্ত। এ ক্ষেত্রে এই ম্যাচটা সেই সব লো-স্কোরিং ম্যাচগুলোর মতো হতে পারত যেখানে দুর্দান্ত খেলে হয় ম্যাচ বার হত অথবা দিশাহীন ভাবে একটা টিম কোলাপস করে যেত। কিন্তু ওভার কমা মানেই আমরা পিছিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিলাম কলকাতার ব্যাটিংয়ের সময়। একজন ক্রিকোটার এবং কোচ হিসেবে ডিএল মেথডকে দু’দলের জন্য সমান সুবিধাকারী পদ্ধতি আমি বলতে পারছি না। এই মেথডে অন্য সমস্যাও রয়েছে।
নিশ্চয়ই এর একটা সমাধান আছে। আমি এখনও এই মেথডে ক্যালকুলেশনটা ঠিক বুঝতে পারি না। কিন্তু এ ব্যাপারে নিশ্চিত আমার আশেপাশেই অনেক মানুষ রয়েছেন যারা আমার চেয়েও স্মার্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রয়োগ করার মতো একটা সঠিক পদ্ধতি বের করবেন।