দুপুরে স্টেডিয়াম চত্বরে হেলিকপ্টারে নামবেন নরেন্দ্র মোদী
গুয়াহাটি থেকে জয় চৌধুরি, ২৩ মে: মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় এখানে এ এফ সি কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে মোহন বাগান- ট্যামপাইন্স এফ সি’র ম্যাচ। আর দুপুরেই গুয়াহাটি বিমান বন্দর থেকে হেলিকপ্টারে স্টেডিয়াম চত্বরে নামার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মঙ্গলবারই অসমে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে খানাপাড়ার মাঠে শপথ নেবেন সর্বানন্দ সোনোওয়াল। উত্তর- পূর্ব ভারতে তিনিই প্রথম বি জে পি’র মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর- পূর্ব ভারতকে বি জে পি কতটা গুরুত্ব দিতে চাইছে সেটা বোঝাতেই বি জে পি’র সভাপতি অমিত শাহ’র সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীও আসছেন। তাঁর সঙ্গেই আসছেন দেশের দুই বিশিষ্ট ধর্মগুরু রামদেব আর রবিশঙ্কর। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বি জে পি’র মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত থাকবেন। গুয়াহাটি বিমান বন্দর থেকে খানাপাড়ার মাঠের দূরত্ব ১৭ কিমি। তাই স্টেডিয়াম চত্বরে সাজসাজ রব। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর।
রবিবারই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে সর্বানন্দর ইস্তফা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই ঠিক মঙ্গলবারই খানাপাড়ার মাঠে শপথ নেবেন তিনি। আর এই সিদ্ধান্তে মঙ্গলবারের ম্যাচটি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। কলকাতায় হলে হয়তো ম্যাচটি হতই না। মোহন বাগনের কর্মীদের বিস্তর ছোটাছুটি করতে হয়। অসম ফুটবল সংস্থার শীর্ষ কর্তা অক্রুর দত্তও নড়েচড়ে বসেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অনুমতি মেলে। তবে প্রধানমন্ত্রী গুয়াহাটি উড়ে যাওয়ার আগেই টিম বাস মাঠে ঢুকবে। ম্যাচ সংগঠনের আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও ঢুকতে দেওয়া হবে কিনা সন্দেহ আছে। বেশ প্রতিকূলতা পেরিয়ে ম্যাচ সংগঠন করতে বাধ্য হচ্ছে মোহন বাগান। সর্বানন্দ প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন বলেই হয়তো এই যাত্রায় বেঁচে গেল মোহন বাগান।
মাঠেও প্রতিকূলতার ছবি দেখা যাবে। এ এফ সি কাপের প্রি- কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যচটি যত এগিয়ে আসছে মোহন বাগানের নিয়মিত ফুটবলাররা চোটের কারণে আরও বেশি করে মাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন। জাতীয় দলের শিবিরে জন্য সনি নর্ডি নেই। হাঁটুর চোট আর আগামী মরশুমের চুক্তি নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ভোগা কাটসুমি রবিবার শহর ছেড়েছেন। প্রীতম কোটাল নেই হাঁটুর নীচে সেলাইয়ের জন্য। এদিন প্রণয় হালদারও অনিশ্চিত হয়ে গেলেন হাঁটুর চোটের জন্য। যার অর্থ মোহন বাগানের শক্তি প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়া।
শক্তি যে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তা মুখে স্বীকার করছেন না সঞ্জয় সেন। যথার্থ প্লেয়ার্স কোচের মতোই তিনি বলছেন যারা আছে তারা তো যোগ্য বলেই মোহন বাগান নিয়েছে। তাই রিজার্ভ বেঞ্চের ছেলেদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। তবে মোহন বাগানের রিজার্ভ বেঞ্চের অবস্থা কী তা দুই সপ্তাহ আগে এখানে সাউথ চায়না ম্যাচে দেখা গিয়েছে। সেদিন অবশ্য প্রথমার্ধে চার অনিয়মিত ফুটবলার খেলেছিলেন। এবার প্রীতম ছাড়া বাকি তিনজন রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় নিয়মিত খেলেছেন। তবে মোহন বাগান সমর্থকদের কাছে সুখবর যে ট্যামপাইন্স রোর্ভাসের নিয়মিত স্ট্রাইকার বিলি মেহযাত নেই। আর দুই নির্ভরযোগ্য মিডিও হ্যানোপি আর সুলেমান নেই। দুই জনেই সাসপেন্ড। তবে ট্যামপাইন্স রোর্ভাসের সবথেকে বিপদজ্জনক ফুটবলার হলেন কানাডিয়ান জর্ডন। আর আছেন আই এস এলে পুনে সিটি এফ সি’র হয়ে খেলা রাইট উইংগার জার্মান পেনাম। তাঁর গতি ধনচন্দ্র সিং কতটা আটকাতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। টানা খেলতে খেলতে ধনচন্দ্র সিং ক্লান্ত। জর্ডন রাইট হাফে খেলেন। জর্ডন- জার্মান কম্বিনেশন বেশ ঝামেলায় ফেলতে পারে মোহন বাগানকে। রাইট ব্যাকে আবার খর্বকায় অভিষেক দাসের খেলার কথা। সনি- কাটসুমির বদলি কেন লুইস আর সুভাষ সিং। ওই দুই বিদেশির সঙ্গে যাদের পার্থক্য আকাশ- পাতাল। প্রণয় খেলতে না পারলে মাঝমাঠের বুনোট থাকবে না। বিক্রমজিৎ, লেনি রডরিগস মিডল হাফে শুরু করবেন। পরিবর্ত হিসাবে আসবেন শৌভিক চক্রবর্তী। তাই মঙ্গলবার রাতে মোহন বাগানকে টানতে বড় ভৃমিকা নিতে হবে জেজে- লুসিয়ানো- কর্নেল গ্লেনকে। শেষ মরশুমে কর্নেল গ্লেনকে কিন্তু স্কিমার হিসেবে দেখা যাচ্ছে। জেজেকে গোল করতে অ্যাসিস্ট করছেন। যা আমরা করতে দেখেছিলাম ১৯৯৭-৯৮ মরশুমে চিমাকে। তখন দীপেন্দু বিশ্বাসকে বল সাজিয়ে দিতেন চিমা। ফেড কাপ জেতার পর মোহন বাগানীদের খিদে হয়তো কমে গিয়েছে। কিন্তু আই এস এলে টিম না পাওয়ায় এই ম্যাচে ভালো খেলতে মরিয়া গ্লেন। পিছন থেকে লিড করার দায়িত্ব লুসিয়ানোর।
গত ২৭ জানুয়ারি সল্টলেক স্টেডিয়ামে মোহন বাগান ট্যামপাইন্স রোভার্সকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। চীনে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিল। কিন্তু মালয়েশিয়ার মতোই সিঙ্গাপুরে ফুটবল মরশুম শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। ২৭ জানুয়ারি ট্যামপাইন্স রোভার্সের প্রথম ম্যাচ ছিল। এখন অনেকটাই সুসংহত দল। শেষ ছয়টি ম্যাচে তিনটিতে জিতেছে। দুটি ড্র। হার একটি। শেষ ছয় ম্যাচে মোহন বাগান অবশ্য চারটিতে জিতেছে। ড্র এবং হার একটিতে। সিঙ্গাপুর লিগে ট্যামপাইন্স রোভার্স এখন দুই নম্বরে আছে। এক নম্বরে হোম ইউনাইটেড। যাদের সঙ্গে ব্যবধান সাত পয়েন্টের। এই দলটির বিশেষত্ব হল প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলে। ৫৫ শতাংশ গোল প্রথমার্ধেই করেছে। এক তৃতীয়াংশ ম্যাচে গোল খায়নি। দলের দুর্বলতা কোরিয়ান ডিফেন্ডার ওয়াই জুন ছন্দে নেই। হয়তো চার ডিফেন্ডারই সিঙ্গাপুরিয়ান। দলটির গড় উচ্চতা মাঝারিমানের। প্রথম ১৫ মিনিটের অনুশীলনে দেখা গেল সিঙ্গাপুরের দলটি মাঠে রীতিমতো হইচই করছে। এ এফ সি কাপের ফিরতি পর্বে শেখ জামাল ধানমুন্ডি আর সেলেঙ্গারকে হারিয়ে খোশ মেজাজে। সঞ্জয় সেন স্বীকার করলেন, গতবারের থেকে এই দলটি তৈরি। তবে মোহন কোচ যাই বলুন না কেন মোহন বাগানের সামনে কঠিন লড়াই। ম্যাচ ৯০ মিনিটে ফয়সালা না হলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা হবে। প্রয়োজনে টাইব্রেকার।
রবিবারই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে সর্বানন্দর ইস্তফা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই ঠিক মঙ্গলবারই খানাপাড়ার মাঠে শপথ নেবেন তিনি। আর এই সিদ্ধান্তে মঙ্গলবারের ম্যাচটি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। কলকাতায় হলে হয়তো ম্যাচটি হতই না। মোহন বাগনের কর্মীদের বিস্তর ছোটাছুটি করতে হয়। অসম ফুটবল সংস্থার শীর্ষ কর্তা অক্রুর দত্তও নড়েচড়ে বসেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অনুমতি মেলে। তবে প্রধানমন্ত্রী গুয়াহাটি উড়ে যাওয়ার আগেই টিম বাস মাঠে ঢুকবে। ম্যাচ সংগঠনের আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও ঢুকতে দেওয়া হবে কিনা সন্দেহ আছে। বেশ প্রতিকূলতা পেরিয়ে ম্যাচ সংগঠন করতে বাধ্য হচ্ছে মোহন বাগান। সর্বানন্দ প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন বলেই হয়তো এই যাত্রায় বেঁচে গেল মোহন বাগান।
মাঠেও প্রতিকূলতার ছবি দেখা যাবে। এ এফ সি কাপের প্রি- কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যচটি যত এগিয়ে আসছে মোহন বাগানের নিয়মিত ফুটবলাররা চোটের কারণে আরও বেশি করে মাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন। জাতীয় দলের শিবিরে জন্য সনি নর্ডি নেই। হাঁটুর চোট আর আগামী মরশুমের চুক্তি নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ভোগা কাটসুমি রবিবার শহর ছেড়েছেন। প্রীতম কোটাল নেই হাঁটুর নীচে সেলাইয়ের জন্য। এদিন প্রণয় হালদারও অনিশ্চিত হয়ে গেলেন হাঁটুর চোটের জন্য। যার অর্থ মোহন বাগানের শক্তি প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়া।
শক্তি যে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তা মুখে স্বীকার করছেন না সঞ্জয় সেন। যথার্থ প্লেয়ার্স কোচের মতোই তিনি বলছেন যারা আছে তারা তো যোগ্য বলেই মোহন বাগান নিয়েছে। তাই রিজার্ভ বেঞ্চের ছেলেদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। তবে মোহন বাগানের রিজার্ভ বেঞ্চের অবস্থা কী তা দুই সপ্তাহ আগে এখানে সাউথ চায়না ম্যাচে দেখা গিয়েছে। সেদিন অবশ্য প্রথমার্ধে চার অনিয়মিত ফুটবলার খেলেছিলেন। এবার প্রীতম ছাড়া বাকি তিনজন রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় নিয়মিত খেলেছেন। তবে মোহন বাগান সমর্থকদের কাছে সুখবর যে ট্যামপাইন্স রোর্ভাসের নিয়মিত স্ট্রাইকার বিলি মেহযাত নেই। আর দুই নির্ভরযোগ্য মিডিও হ্যানোপি আর সুলেমান নেই। দুই জনেই সাসপেন্ড। তবে ট্যামপাইন্স রোর্ভাসের সবথেকে বিপদজ্জনক ফুটবলার হলেন কানাডিয়ান জর্ডন। আর আছেন আই এস এলে পুনে সিটি এফ সি’র হয়ে খেলা রাইট উইংগার জার্মান পেনাম। তাঁর গতি ধনচন্দ্র সিং কতটা আটকাতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। টানা খেলতে খেলতে ধনচন্দ্র সিং ক্লান্ত। জর্ডন রাইট হাফে খেলেন। জর্ডন- জার্মান কম্বিনেশন বেশ ঝামেলায় ফেলতে পারে মোহন বাগানকে। রাইট ব্যাকে আবার খর্বকায় অভিষেক দাসের খেলার কথা। সনি- কাটসুমির বদলি কেন লুইস আর সুভাষ সিং। ওই দুই বিদেশির সঙ্গে যাদের পার্থক্য আকাশ- পাতাল। প্রণয় খেলতে না পারলে মাঝমাঠের বুনোট থাকবে না। বিক্রমজিৎ, লেনি রডরিগস মিডল হাফে শুরু করবেন। পরিবর্ত হিসাবে আসবেন শৌভিক চক্রবর্তী। তাই মঙ্গলবার রাতে মোহন বাগানকে টানতে বড় ভৃমিকা নিতে হবে জেজে- লুসিয়ানো- কর্নেল গ্লেনকে। শেষ মরশুমে কর্নেল গ্লেনকে কিন্তু স্কিমার হিসেবে দেখা যাচ্ছে। জেজেকে গোল করতে অ্যাসিস্ট করছেন। যা আমরা করতে দেখেছিলাম ১৯৯৭-৯৮ মরশুমে চিমাকে। তখন দীপেন্দু বিশ্বাসকে বল সাজিয়ে দিতেন চিমা। ফেড কাপ জেতার পর মোহন বাগানীদের খিদে হয়তো কমে গিয়েছে। কিন্তু আই এস এলে টিম না পাওয়ায় এই ম্যাচে ভালো খেলতে মরিয়া গ্লেন। পিছন থেকে লিড করার দায়িত্ব লুসিয়ানোর।
গত ২৭ জানুয়ারি সল্টলেক স্টেডিয়ামে মোহন বাগান ট্যামপাইন্স রোভার্সকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। চীনে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিল। কিন্তু মালয়েশিয়ার মতোই সিঙ্গাপুরে ফুটবল মরশুম শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। ২৭ জানুয়ারি ট্যামপাইন্স রোভার্সের প্রথম ম্যাচ ছিল। এখন অনেকটাই সুসংহত দল। শেষ ছয়টি ম্যাচে তিনটিতে জিতেছে। দুটি ড্র। হার একটি। শেষ ছয় ম্যাচে মোহন বাগান অবশ্য চারটিতে জিতেছে। ড্র এবং হার একটিতে। সিঙ্গাপুর লিগে ট্যামপাইন্স রোভার্স এখন দুই নম্বরে আছে। এক নম্বরে হোম ইউনাইটেড। যাদের সঙ্গে ব্যবধান সাত পয়েন্টের। এই দলটির বিশেষত্ব হল প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলে। ৫৫ শতাংশ গোল প্রথমার্ধেই করেছে। এক তৃতীয়াংশ ম্যাচে গোল খায়নি। দলের দুর্বলতা কোরিয়ান ডিফেন্ডার ওয়াই জুন ছন্দে নেই। হয়তো চার ডিফেন্ডারই সিঙ্গাপুরিয়ান। দলটির গড় উচ্চতা মাঝারিমানের। প্রথম ১৫ মিনিটের অনুশীলনে দেখা গেল সিঙ্গাপুরের দলটি মাঠে রীতিমতো হইচই করছে। এ এফ সি কাপের ফিরতি পর্বে শেখ জামাল ধানমুন্ডি আর সেলেঙ্গারকে হারিয়ে খোশ মেজাজে। সঞ্জয় সেন স্বীকার করলেন, গতবারের থেকে এই দলটি তৈরি। তবে মোহন কোচ যাই বলুন না কেন মোহন বাগানের সামনে কঠিন লড়াই। ম্যাচ ৯০ মিনিটে ফয়সালা না হলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা হবে। প্রয়োজনে টাইব্রেকার।
No comments:
Post a Comment