Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Monday, May 23, 2016

দেশে গেলেন সনি, কলকাতায় ফিরলেন কাৎসুমি | আজকাল

সৌমিত্র কুমার রায়: চোটের জন্য ছিটকে গেলেন কাৎসুমি উসা ও প্রীতম কোটাল! ফেড কাপ চ্যাম্পিয়নদের সুখের সংসারে হঠাৎই চোটের ধাক্কা! তা নিয়েই আবার এ এফ সি–তে সবুজ–মেরুন ফোকাস ঘোরাচ্ছে। ডান পায়ের গোড়ালিতে চোটের কারণে রবিবার দুপুরের বিমানে কলকাতায় ফিরে গেলেন কাৎসুমি উসা। চলতি মরশুমে এই প্রথম বার চোটের জন্য খেলতে পারবেন না এই জাপানি মিডিও।
প্রীতম কোটালের বাঁ হাঁটুতে তিনটে সেলাই পড়েছে। প্রণয় হালদারেরও গোড়ালিতে চোট রয়েছে। ফলে এ এফ সি কাপের প্রি–কোয়ার্টার ফাইনালে ট্যাম্পাইন রোভার্সের বিরুদ্ধে নামার ৪৮ ঘণ্টা আগে নিঃসন্দেহে সঞ্জয় সেনের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে নিজে মুখে তা মানতে নারাজ বাগান কোচ। বলেন, ‘ধাক্কা কি না, সেটা ম্যাচের পর বোঝা যাবে।’ কাৎসুমির সঙ্গে এ এফ সি–তে রেজিস্ট্রেশন না থাকায় আজহারউদ্দিনও ফিরে যান। পরিবর্তে কলকাতা থেকে উড়ে আসার কথা ছিল সুভাষ সিং, কিন লুইস ও তীর্থঙ্কর সরকারের। কিন্তু বিমানের টিকিট না পাওয়া যাওয়ায় তঁারা সোমবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
যতই চোট–আঘাত থাকুক, ফেড কাপ জয়ের রেশ এখনও কাটেনি। এদিন কোনও প্র্যাকটিস সেশন ছিল না। টিম হোটেলে যে যার মতো করে সময় কাটিয়েছেন। এ এফ সি কাপের ম্যাচের আগে এদিন নতুন হোটেলে উঠলেন দেবজিৎ–কিংশুকরা। হোটেল ছাড়ার আগে পুলেই কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে যান গ্লেন। ফাইনালের ম্যাচের নায়ক জেজে চার্চে গিয়ে প্রার্থনাটা সেরে আসেন এক ফাঁকে। সব মিলিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল বাগান শিবির।
এদিকে রবিবার সকালেই সহ–সচিব সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে সাতসকালেই কলকাতায় ফিরে যান সনি নর্ডি। বান্ধবীকে নিয়ে রবিবারই হাইতি উড়ে যাওয়ার কথা তঁার। হোটেল ছাড়ার আগে সনি বলে যান, ‘এ বছর বেঙ্গালুরু এফ সি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। কিন্তু গতবারের থেকে আমরা অনেক বেটার ফুটবল খেলেছি। এ এফ সি প্রি–কোয়ার্টার আমি খেলতে না পারলেও দলের ওপর ভরসা রয়েছে।’
ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পরের বারও এ এফ সি কাপের দরজা খুলে গেছে বাগানের সামনে। তবে, চোট–আঘাত থাকলেও মঙ্গলবারের ম্যাচ জিততে মরিয়া সঞ্জয়। এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ট্যাম্পাইন রোভার্সকে হারালেও এবার লড়াই কঠিন হবে। তখন বিপক্ষ দলে বেশ কয়েকজন ফুটবলার ছিলেন না। ফলে তাদের শক্তি এখন তুলনায় বেড়েছে। ট্যাম্পাইন রোভার্সের টিম লিস্ট ইতিমধ্যেই জোগাড় করেছেন মোহন কোচ।
এসবের মধ্যে আবার পরের বারের দলগঠন নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন বাগান–কর্তারা। পরের মরশুমেও একই দল ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তঁারা। সহ–সচিব সৃঞ্জয় বসু বলেন, ‘পরের বারও আমরা এই দল ধরে রাখতে চাই। দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে এই দল।’ অর্থাৎ সঞ্জয় যখন এ এফ সি–র প্রি–কোয়ার্টারের বাধা টপকানোর নীলনকশা তৈরিতে ব্যস্ত, তখন কলকাতায় থাকা কর্তারা নতুন মরশুমের দল গঠনের পরিকল্পনা শুরু করে দিচ্ছেন।‌‌

No comments:

Post a Comment