অঝোর ধারা, ধূসর আকাশ। সব্বাইকে ভয় পাইয়েছে। কিন্তু ওই দুজন না জানি কোন ধাতুতে গড়া! দিনেদুপুরে ক্রমশই যখন অন্ধকারের চাদরটা গায়ে জড়াচ্ছিল আকাশ, দুজনে ফিরিয়ে দিয়েছিল উপেক্ষা। যখন এক-দু ফোঁটা করে শুরু হল বৃষ্টি, তখন দুজনে ফিরিয়ে দিয়েছিল উপেক্ষা।
যখন অঝোর ধারা, মাতাল হাওয়ায় চারদিক এলোমেলো, তখনও দুজনে ফিরিয়ে দিয়েছিল উপেক্ষা। এমন করে উপেক্ষা করার স্পর্ধা হল কাদের? এই দুইয়ের পরিচয় কী? প্রথম জন, পেলে। দ্বিতীয়, নয় বছরের ছোট্ট ছেলে। ৫০ বছর আগে বোল্টনে, বিশ্বকাপের ঠিক আগে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুশীলনে ডুবে ছিলেন ফুটবল সম্রাট। পেলে যখন ক্রমাগত বলে কিক করছেন, তখন দূরে মাঠের বেড়ার ধারে দাঁড়িয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি। পলক না ফেলে দেখে চলেছিল পেলেকে। অঝোর বৃষ্টি অতটুকু ছেলেটাকেও ভয় পাওয়াতে পারেনি। ১৯৬৬ সালে, পেলে আর ওই নয় বছরের ছেলেটির ছবি তুলেছিলেন অ্যালবার্ট কুপার। ‘দ্য সান’-এর হয়ে। পত্রিকার শিরোনামটিও ছিল দুর্দান্ত, ‘ফর টু দেয়ার ইজ নো রেইন’। ব্রমউইচের সেই ট্রেনিংয়ের মাঠে, সেদিন যে ছেলেটি পলক না ফেলে দেখেছিল পেলেকে, তাঁর নাম ডেভিড হিটন। ৯-এর ছেলেটি এখন ৫৯। তবে পঞ্চাশ বছর আগের ছবিটি যত্ন করে রাখা আছে তাঁর কাছে। আগামী সেপ্টেম্বরে বোল্টনে যাবেন পেলে। ডেভিড হিটন এখন আশায় রয়েছেন পেলের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার। চান, কিংবদন্তির সই। হিটন বলেছেন, ‘সেদিন বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সবাই মাঠের ধার থেকে সরে গিয়েছিল। কিন্তু আমি যাইনি। সাদা-কালো ছবিটাই তার প্রমাণ। সেদিন বৃষ্টি নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল না। আগ্রহ ছিল পেলেকে নিয়ে। ওঁকে কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলাম।’ সত্যি সময় কত দ্রুত এগিয়ে যায়! কিন্তু কিছু কিছু স্মৃতি, আজীবনের সঙ্গী হয়।
Source - Aajkal
যখন অঝোর ধারা, মাতাল হাওয়ায় চারদিক এলোমেলো, তখনও দুজনে ফিরিয়ে দিয়েছিল উপেক্ষা। এমন করে উপেক্ষা করার স্পর্ধা হল কাদের? এই দুইয়ের পরিচয় কী? প্রথম জন, পেলে। দ্বিতীয়, নয় বছরের ছোট্ট ছেলে। ৫০ বছর আগে বোল্টনে, বিশ্বকাপের ঠিক আগে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুশীলনে ডুবে ছিলেন ফুটবল সম্রাট। পেলে যখন ক্রমাগত বলে কিক করছেন, তখন দূরে মাঠের বেড়ার ধারে দাঁড়িয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি। পলক না ফেলে দেখে চলেছিল পেলেকে। অঝোর বৃষ্টি অতটুকু ছেলেটাকেও ভয় পাওয়াতে পারেনি। ১৯৬৬ সালে, পেলে আর ওই নয় বছরের ছেলেটির ছবি তুলেছিলেন অ্যালবার্ট কুপার। ‘দ্য সান’-এর হয়ে। পত্রিকার শিরোনামটিও ছিল দুর্দান্ত, ‘ফর টু দেয়ার ইজ নো রেইন’। ব্রমউইচের সেই ট্রেনিংয়ের মাঠে, সেদিন যে ছেলেটি পলক না ফেলে দেখেছিল পেলেকে, তাঁর নাম ডেভিড হিটন। ৯-এর ছেলেটি এখন ৫৯। তবে পঞ্চাশ বছর আগের ছবিটি যত্ন করে রাখা আছে তাঁর কাছে। আগামী সেপ্টেম্বরে বোল্টনে যাবেন পেলে। ডেভিড হিটন এখন আশায় রয়েছেন পেলের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার। চান, কিংবদন্তির সই। হিটন বলেছেন, ‘সেদিন বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সবাই মাঠের ধার থেকে সরে গিয়েছিল। কিন্তু আমি যাইনি। সাদা-কালো ছবিটাই তার প্রমাণ। সেদিন বৃষ্টি নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল না। আগ্রহ ছিল পেলেকে নিয়ে। ওঁকে কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলাম।’ সত্যি সময় কত দ্রুত এগিয়ে যায়! কিন্তু কিছু কিছু স্মৃতি, আজীবনের সঙ্গী হয়।
Source - Aajkal
No comments:
Post a Comment