জয়ের কাহিনী লেখার শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে থেকেই। যখন রবিন উথাপ্পা ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন। সঙ্গ দিচ্ছিলেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। তাঁরা যখন আউট হলেন তখন বাকিদের দায়িত্ব ছিল সেই কাজটিকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেটাই করে গেলেন মনীশ পাণ্ডে, সূর্যকুমার যাদব। শুরুটা অবশ্য করে দিয়েছিলেন বোলাররাই কিংস একাদশ পঞ্জাবকে ১৩৮ রানে আটকে দিয়ে। শেষ কাজটি করলেন ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ শেষে কে কী বললেন দেখে নেওয়া যাক।
গৌতম গম্ভীর (কলকাতা অধিনায়ক): আমরা পেশাদার। ওপেনিং পার্টনারশিপটা সব সময়ই খুব জরুরি। যেভাবে রবিন ব্যাট করেছে সেটাই আমাদের টার্গেটা অনেক সহজ করে দিয়েছিল। আমার বিশ্বাস এই ভাবেই আমরা ব্যাট করে যেতে পারব। যদিও সব সময়ই উন্নতির জায়গা থাকে। কিন্তু আমরা সকলেই চাইছি এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে। ফর্ম কখন চলে যাবে কেউ জানে না। যখন তুমি রান পাচ্ছ তখন যতটা সম্ভব রান তুলে নিতে হবে। মনীশ আর সূর্যও ভাল ব্যাট করেছে। আমার মিডল অর্ডার নিয়ে আমি চিন্তিত নই। বেশি কিছু পরিবর্তন করতে চাই না দলে। আমাদের প্লেয়ারদের উপর আস্থা রয়েছে। আর ওদের যে দলে নিশ্চিত জায়গা রয়েছে প্লেয়ারদের এই বিশ্বাসটা দেওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
নারিনকে আমরা চেয়েছিলাম দলে কিন্তু ওর উপর বেশি চাপ দিতে চাই না। ওকে ছাড়াও আমাদের দলে পাঁচজন প্রতিভাবান বোলার রয়েছে। এটাই সময় বাকিদের দায়িত্ব নিতে হবে। যে দায়িত্বটা এতদিন নারিন নিয়ে এসেছে। শেষ দুটো ম্যাচে দারুন বল করেছে নারিন।
রবির উথাপ্পা (ম্যাচের সেরা): এতদিন শুরুটা খুব ভাল হচ্ছিল না। কিন্তু আমি এখন খুশি দলের জয়ে আমি অংশ নিতে পারলাম। টুর্নামেন্টের শুরুতেই সেরাটা দিয়ে জায়গাটা পোক্ত করে ফেলাটা জরুরি। এটাই আমাদের লক্ষ্য। গৌতম আর আমার মধ্যে দারুণ একটা বোঝাপড়া রয়েছে। এই বোঝাপড়াটাই আমাদের ওপেনিংয়ে রান করতে সাহায্য করছে। এমন কিছু চেষ্টা করতে হবে যেটা ভাঙবে না। আমরা দু’জন দু’জনকে যেভাবে সাহায্য করি তাতে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।
ডেভিড মিলার (পঞ্জাব অধিনায়ক): হতাশাজনক। আমরা যথেষ্ট রান করতে পারিনি। শুরুতেই অনেক উইকেট চলে গিয়েছিল। মাঠের মধ্যে আমরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। জয়ের থেকে দূরে ছিলাম না আমরা। তবে আমার দলের উপর বিশ্বাস আছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াব। মিডল অর্ডার অনেকটাই দায়ী। সেই তালিকায় আমিও আছি। আমিও রান করতে পারিনি। বোলিংয়েও আমরা প্রচুর বাউন্ডারি দিয়ে ফেলেছি। অনেক ভালও আছে। সাহু খুব ভাল বল করেছে। রানও পেয়েছে।
সোর্স - আনন্দবাজার
No comments:
Post a Comment