অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। শেষ
দিকে দিশা হারিয়েছিল মোহনবাগান। কলকাতার দুই প্রধানকে টেক্কা দিয়ে
চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফ সি। ৩ বছর আগে ভারতীয় ফুটবলে আত্মপ্রকাশ করে ২
বার চ্যাম্পিয়ন। বেঙ্গালুরুর এই রকম চমকপ্রদ উত্থানের কারণ কী? মোহনবাগান
কোচ সঞ্জয় সেন মনে করছেন, একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলে বলে এই সাফল্য।
সঞ্জয় বলছিলেন, ‘বেঙ্গালুরু নির্দিষ্ট সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলে। সেটার ফল
পাচ্ছে। আমরাও একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলি। কোথাও গিয়ে দিশা হারিয়ে
ফেলি।’ চ্যাম্পিয়ন হলেও বেঙ্গালুরু কোচ অ্যাশলে ওয়েস্টউডকে অভিনন্দন
জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি সঞ্জয় সেন। তবে খেতাব হাতছাড়া নিয়ে আর ভাবতে
চান না বাগান কোচ। তিনি বলছিলেন, ‘অতীত আঁকড়ে বসে থাকতে পছন্দ করি না। যা
চলে গেছে, তা নিয়ে ভাবছি না। সামনের দিকে তাকাতে চাই। রবিবার পর্যন্ত
সমর্থকরা বেঙ্গালুরু ম্যাচের দিকে তাকিয়েছিল। আমাদের আর কোনও আশা নেই।
ফেডারেশন কাপের আগে আমাদের যে দুটো ম্যাচ আছে সেই ম্যাচ দুটিতে ভাল কিছু
করতে হবে।’ সামনের দুটি ম্যাচেই এখন ফোকাস সঞ্জয় সেনের। খেতাব হারিয়ে এখন
রানার্স হওয়ার দিকে তাকিয়ে বাগান কোচ। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারিয়েই
রানার্স হতে চান। আই লিগে রানার্স হতে পারলে ফেডারেশন কাপে প্রথম রাউন্ডে
অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ার সম্ভাবনা। সেদিকেই তাকিয়ে সঞ্জয় সেন। ২৭
এপ্রিল এ এফ সি কাপে মালদ্বীপের মেজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন
ক্লাবের সঙ্গে খেলা। জিতলে গ্রুপ শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা। সেটাই আপাতত
লক্ষ্য। বারপুজোর দিন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বলেছিলেন, সামনের মরশুমেও
কোচ হিসেবে সঞ্জয় সেনকে রেখে দিতে চান। এই প্রসঙ্গ বাগান কোচ বলছিলেন,
‘সচিবের মনোভাব জেনে ভাল লাগছে। তবে আমি মনে করি ক্লাবকে সাফল্য দিতে না
পারলে যে কোনও কোচেরই সরে যাওয়া উচিত।’ সঞ্জয় সেনের এই কথাটা কিন্তু যথেষ্ট
তাৎপর্যপূর্ণ। কেন খেতাব হাতছাড়া হয়েছে, সে বিষয়ে বাগান কোচ কোনও মন্তব্য
না করলেও সনি নর্ডি মনে করছেন, আইজল এফ সি ম্যাচ থেকেই দিশা হারিয়েছিল
মোহনবাগান। তারপর ডার্বিতে হার। তাহলে কি তাঁর না থাকাটাই পার্থক্য গড়ে
দিল? না কোচ সঞ্জয় সেনের রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে না পারা। হাইতির এই
স্ট্রাইকার বলছিলেন, ‘হয়ত দুটো কারণেই ব্যর্থতা এসেছে। তবে কোচের রিজার্ভ
বেঞ্চে না থাকাটা অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর। আইজল ম্যাচ থেকেই আমরা পথ হারিয়েছি।’
সনির আপাতত লক্ষ্য দলকে ফেডারেশন কাপ এনে দেওয়া, না হলে যে মরশুমে
ট্রফিহীন থেকে যাবে সবুজ–মেরুন বাগান।
সোর্স ঃ আজকাল
No comments:
Post a Comment