সেই অভিশপ্ত ঘটনার পর দীর্ঘ ১৮ মাস কেটে গিয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে যে দুঃসহ স্মৃতি আজও টাটকা। ২০১৪-র নভেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাচ চলাকালীন আকস্মিকভাবেই বিপক্ষ বোলারের ধেয়ে আসা বলের আঘাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লেন ফিলিপ হিউজ। মাঠেই শুশ্রুষা করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি এই বাঁ-হাতি অসি ওপেনারকে।
সেই শোকাবহ ঘটনার পর অনেকেই বলেছিলেন, হিউজের মাথায় থাকা ত্রুটিপূর্ণ হেলমেটই নাকি তাঁর মৃত্যুর কারন। বুধবার অবশ্য জানা গেল, হেলমেট দায়ী নয়, বরং প্রচন্ড গতিতে ঠিকরে আসা বল হিউজের ঘাড়ে লাগার পর সেই অভিঘাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সেদেশের নামী ব্যারিস্টার ডেভিড কার্টেন এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। যাতে স্পষ্ট করেই তিনি জানিয়েছেন,‘হেলমেটের মান সন্তোষজনকই ছিল। যদিও, নতুন চালু হওয়া ইংলিশ হেলমেটগুলো আরও শক্তপোক্ত।’ এরই সঙ্গে কার্টেন আরও যোগ করেছেন,‘যদিও আমার মনে হয় হিউজের ঘাড়ের যে জায়গায় চোটটা লেগেছিল তাতে যত উন্নতমানের হেলমেটই কেউ পরে থাকুক না কেন, লাভ হত না!’ হিউজের অকালমৃত্যুর পর অনেকেই বলেছিলেন, মাঠে লুটিয়ে পড়ার পর প্রাথমিক শুশ্রুষা হলেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্ব হয়। কারন, অ্যাম্বুলেন্স বেশ দেরিতে এসেছিল। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে কার্টেন এই বিষয়টিকেও তেমন আমল দিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য,‘আসলে ওর আঘাতটাই মারাত্মক ছিল। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর ফিলিপকে যেভাবে সারিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল, তাতে কোনও ফাঁক ছিল বলে আমার মনে হয় না।’ একইসঙ্গে, কার্টেন সমস্ত প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটারদের উন্নততর মানের হেলমেট ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন।
No comments:
Post a Comment