দেবাশিস দত্ত: সুপ্রিম কোর্টের কানমলা খেয়ে এক দিকে যখন কর্তাদের মধ্যে পালাই পালাই রব, তখন দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা সত্যিই, এ মুহূর্তে চলে গিয়েছে পেছনের সারিতে। সামনে জিম্বাবোয়ে সফর, তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কোচ নিয়োগ হয়ে যাবে ঠিক সময়, এ কথা বলছেন বটে সচিব অনুরাগ ঠাকুর, কিন্তু প্রশ্ন থাকছে দুটো। এক, কবে নাগাদ নতুন কোচ বেছে নেওয়া হবে? দুই, নতুন কোচের দায়িত্বে আনা হবে কাকে?
প্রথম প্রশ্নের জবাব, যে–কোনও দিন।
এবার, নাড়াচাড়া করা যাক, দ্বিতীয় প্রশ্নটি নিয়ে। কে হবেন ওই কোচ।
মাস খানেক আগে বিদায়ী সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের নোটবুকে ছিল একটি নাম। স্টিফেন ফ্লেমিং। কথাবার্তা হয়েছিল তিন প্রস্থ। কিন্তু চূড়ান্ত করে যাননি শশাঙ্ক। ভাবেননি, দ্রুত তাঁকে পদত্যাগের রাস্তায় চলে যেতে হবে। শশাঙ্ক যখন চলে যাব, যাব করছেন, তখনই বিরাট কোহলি হালকা করে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরির নাম। টেস্ট অধিনায়ক বলে কথা, একেবারে টাটকা অভিজ্ঞতা থেকে বিরাট তাঁর পছন্দের কথা বলেছেন। কোনও অন্যায় নেই। আমাদের ধারণা ছিল, রবি শাস্ত্রীকেও টিম ডিরেক্টর হিসেবে বেশ পছন্দ হয়েছিল বিরাটের। এমনকী সচিব অনুরাগ ঠাকুরও যে ব্যক্তিগতভাবে শাস্ত্রীকে পছন্দ করেন, চাইছেন, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। সচিব থেকে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে যিনি এক পা বাড়িয়ে রেখেছেন, তিনি চাইলে, শাস্ত্রীকে টিম ডিরেক্টর হিসেবে রেখে বিরাটের পছন্দের ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে কোচের দায়িত্ব দিতে পারেন। দুটি আলাদা পদ, দুটি আলাদা নাম। যেমন ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের সময়। ভুলে গেলেন নাকি ডানকান ফ্লেচার–রবি শাস্ত্রী জুটির কথা। ভেট্টরি–শাস্ত্রী জুটি খারাপ হবে না। লাগবে কিছু বাড়তি টাকা। তাতে যদি অধিনায়ক এবং হবু সভাপতির পছন্দের মর্যাদা পায়, অসুবিধা কোথায়?
কী হবে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া সভাপতির পছন্দের ফ্লেমিংয়ের? প্রাক্তন হয়ে যাওয়া কর্মকর্তার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে চাইবেন অনুরাগ? ঠিক এই সময় থেকেই মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষ থেকে চাওয়া হল রিকি পন্টিংকে। কেন পন্টিং নন? কোন যুক্তিতে তাঁর কথা ভাবা হবে না? শোনা গেল, স্বয়ং নীতা আম্বানি উদ্যোগ নিয়েছেন পন্টিংয়ের জন্য। নাম বেড়ে দাঁড়াল (শাস্ত্রীকে ধরে) চার। একজনকে বেছে নেওয়া কঠিন।
No comments:
Post a Comment