চোখের পলক পড়ার আগেই ছুট্টে পালাত! ঘরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ইঁদুর! একটা-দুটো নয়, সংখ্যায় ওরাই গরিষ্ঠ! একে ইঁদুরের উৎপাত। তারওপর ঘনঘন লোডশেডিং। এমন বিদঘুটে, বিচিত্র জিমেই মেয়েটা কসরত করত। সেই ছোট্ট থেকে।
ইঁদুরদের তিড়িংবিড়িং লাফালাফি দেখে ঘাবড়ে যাবে যেখানে যে কেউ, সেখানে মেয়েটা ভয় পেত না! শুরুর দিকে একটু অসুবিধে হত ঠিকই, তবে পরে অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যিস হয়েছিল। ভাগ্যিস পথের এই ছোট-বড় সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করতে পেরেছিল। তা না হলে গোটা দেশ, তাঁর মত জিমন্যাস্ট পেত কি করে? দীপা কর্মকার। ভারতের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে যিনি রিও-র টিকিট জোগাড় করেছেন। দীপা আপাতত ব্যস্ত রিও-র প্রস্তুতিতে। দেশে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে কম হইচই হয়নি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তো তাঁকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিয়েছিল। সংবর্ধনার বহরও কম ছিল না। কিন্তু আপাতত সে সব কিছু সুইচ অফ করে দীপা মগ্ন অনুশীলনে। রিও থেকে পদক আনার শপথ নিয়েছেন। তবে আরও একটা স্বপ্ন মনের কোণে বাসা বেঁধেছে। কী সেই স্বপ্ন? দীপা জানিয়েছেন, ‘এবার ভারত থেকে আমিই একা জিমন্যাস্টিক্সে অংশ নেব। কিন্তু ২০২০-র অলিম্পিকে ভারত থেকে আরও চার-পাঁচজন জিমন্যাস্ট অংশ নিক চাই। আশা করি, আরও ভাল ভাল জিমন্যাস্ট উঠে আসবে আমার দেশ থেকে।’ দীপা যখন এমন স্বপ্ন দেখছেন, তখন তাঁকে নিয়ে লেখালেখি হল বিলেতের কাগজেও। পায়ের পাতায় ভাঁজ ছিল না যে মেয়ের, সেই মেয়ে রিও অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে! এটাই আকৃষ্ট করেছে, বিলেতের প্রচারমাধ্যমকে। কিন্তু দীপা কি তা জানেন? না, এখন কোনও কিছু শোনারই সময় নেই তাঁর।
No comments:
Post a Comment