টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই শেষ হয়ে গিয়েছে তঁার চুক্তি। তাই ফের পুরনো ভূমিকায় ফিরে এসেছেন রবি শাস্ত্রী। আই পি এল চলাকালীন কমেন্ট্রি করা ছাড়াও, মাইক হাতে তঁাকে দেখা যাচ্ছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চেও। ভারতীয় বোর্ড ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তঁারা টিম ডিরেক্টরের বদলে নতুন কোচ–ই নিয়োগ করবে, সেখানে।
ফলে, শাস্ত্রী কোনওভাবে ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে যুক্ত থাকবেন কি না, তা সময়ই বলবে। তবে শাস্ত্রী নিজে এ নিয়ে মোটেই ভাবনাচিন্তা করতে রাজি নন। বরং, ভারতীয় দলের সঙ্গে কাটিয়ে আসা ১৮ মাসের স্মৃতি রোমন্থনেই ব্যস্ত তিনি। ‘গত ১৮ মাসে সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে আমরা দারুণ কাজ করেছি। খেলোয়াড়রাও বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে। চেয়েছিলাম ওদের মধ্যে ভয়হীন ক্রিকেটটা ঢুকিয়ে দিতে। সে কাজে সফলও হয়েছি’, এক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন শাস্ত্রী। ইদানীং গোটা বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে, কোনও টেস্টই আর ৫ দিন গড়াচ্ছে না। বেশিরভাগই তিন–চারদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের মতো কোথাও কোথাও উঠে আসছে পিচের প্রসঙ্গও। তবে শাস্ত্রীর মতে, ‘এখন বেশিরভাগ খেলোয়াড়রই সব ফরম্যাটে খেলে। ফলে, টি–টোয়েন্টিতে যে–সব শট খেলে তারা সফল, তা টেস্টেও খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যায়। ধৈর্য কম থাকাও একটা কারণ।’ দু’দিন আগেই লোধা কমিশনের নির্দেশ মেনে সি ই ও নিয়োগ করেছে ভারতীয় বোর্ড। এই সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ বলে বর্ণনা করে শাস্ত্রীর মন্তব্য, ‘অবশেষে একজন পেশাদার লোক পাওয়া গেল যে সব কাজের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। (রাহুল) জোহরি অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। ও বি সি সি আই–এর চিত্র বদলাতে পারে।’ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের একটা তিক্ত সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। কখনও ধোনি, কখনও রায়না— নামগুলো বদলাচ্ছে। শাস্ত্রীও দোষ চাপালেন মিডিয়ার ঘাড়েই। ‘এখন খেলোয়াড়দের চারপাশে খালি মিডিয়া। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক সব। আমাদের সময়ে এরকম চাপ ছিল না। কিন্তু এখনকার খেলোয়াড়রা মিডিয়ার চাপ সামলাতে নাকাল হয়ে যাচ্ছে। আরে, ওরাও তো মানুষ। ওদেরও শান্তি দরকার।’ আই পি এল নিয়েও মুখ খুলেছেন শাস্ত্রী। বলেছেন, ‘যেভাবে আই পি এল নেতিবাচক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তাতে আমি হতাশ। মানুষ ভুলে যায় নেতিবাচক ব্যাপার মাত্র দু–তিন শতাংশ। ভুলে যাবেন না, আই পি এল থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে।’ গতকালই বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, আই পি এল সামনের বছর বাইরে যেতে পারে। শাস্ত্রীর মন্তব্য, ‘আই পি এল ভারতেই হওয়া উচিত। তবে বাইরে গেলেও ক্ষতি নেই। এর আগেও দু’বার বাইরে গেছে। আই পি এল ভারতের সম্পত্তি নয়। তাই এখানেই প্রত্যেকবার করতে হবে এরকম কোনও মানে নেই।’ মাইক হাতে নিজের সেরা অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন শাস্ত্রী। ‘বিশ্বকাপের সময় ধোনির উইনিং শট নেওয়ার ঘটনা বর্ণনা করাটাই সব থেকে সেরা’, জানালেন শাস্ত্রী।
No comments:
Post a Comment