বেঙ্গালুরুকে ৫ গোলে উড়িয়ে স্বস্তির জয়ের দিনেও ৪ ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর
আপশোস সঞ্জয় সেনের গলায়। একই সুর টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার
পাওয়া সনি নর্ডির গলাতেও। বাগান কোচ যেমন বলেই দিলেন, ‘আইজল ও লাজং ম্যাচে
যদি পয়েন্ট না হারাতাম, তাহলে আজ আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ করতে হত না।
তবে ফুটবলাররা আজ দারুণ খেলেছে, তাই এই ফল। আই লিগ হাতছাড়া হলেও এই জয়
অবশ্যই ফেড কাপ, এ এফ সি কাপে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।’ সনির চোট
এবং শাস্তির কবলে পড়ে রিজার্ভ বেঞ্চে সঞ্জয়ের না–থাকাই দিনের এই পার্থক্য
গড়ে দিল বলে মত সমর্থকদের। বাগান কোচ অবশ্য সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ।
সঞ্জয়ের কথায়, ‘আমার বেঞ্চে না–থাকা ফ্যাক্টর হয়েছে বলে মনে করি না। তবে
সনি না থাকাটা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু এটাও ঠিক কোনও একজন ফুটবলারের
না থাকায় এমন ফলাফল এটা মানা যায় না।’ টুর্নামেন্টের সেরার খেতাব পাওয়া
সনির কথায়, ‘অবশ্যই এটা আমার কাছে বড় সম্মান। তবে দলে লিগ চ্যাম্পিয়ন হলে
সেরার সম্মানটা আমাকে আরও বেশি তৃপ্তি দিত। আমরাও একটা সময় পর্যন্ত
চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ছিলাম। নিজেদের ব্যর্থতাতেই সেটা ধরে রাখতে পারিনি।
বেঙ্গালুরু সেই সুযোগটা দারুণ কাজে লাগিয়েছে। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।’
মর্যাদার লড়াইয়ে ওয়েস্টউডের দলকে ৫ গোল। সঞ্জয়ের কথায়, ‘ম্যাচটা জিতব,
সে–ব্যপারে আমরা শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে এটা ঠিক, ৫ গোলে জিতব
ভাবিনি। আজহারউদ্দিন এদিন যেভাবে গোল করে মোহনবাগান জার্সির সম্মান দিয়ে
গেল, ওকে নিয়েও আজ গর্ব হচ্ছে।’ হার প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরু কোচ অবশ্য পাল্টা
শুনিয়ে গেলেন, ‘দল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ায় ফুটবলারদের মধ্যে কোনও
মোটিভেশন ছিল না। তাছাড়া দলের সেরা ৭ ফুটবলারকে বাইরে রাখা হয়েছিল। ফেড
কাপ, এ এফ সি–র কথা মাথায় রেখেই এদিন দল নামিয়েছিলাম।’ অনেকটা সেই সুরেই
সুনীল ছেত্রিও বলে দিলেন, ‘আমরা এই ম্যাচে ৫–০ হার নিয়ে ভাবছি না। এখন
লক্ষ্য পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলিতে ভাল পারফর্ম করা।’Source - Aajkal
No comments:
Post a Comment