প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় জুড়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় টেবল টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন শরৎ কমল। সম্প্রতি সৌম্যজিৎ ঘোষ সকলকে পিছনে ফেলে ভারতীয়দের মধ্যে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন। ২৩ বছর বয়সী সৌম্যজিৎ ২০১২ সালে লন্ডন ওলিম্পিকসে একমাত্র ভারতীয় পুরুষ খেলোয়াড়রূপে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবার রিও ওলিম্পিকসে অবশ্য সৌম্যজিৎ ও শরৎ কমল উভয়েই অংশ নেবেন।
এই প্রসঙ্গে সৌম্যজিৎ বলেন, ‘গত কয়েক মাস আমি প্রত্যাশিত ফর্মে খেলেছি। তাই বিশ্ব র্যাঙ্কিং উন্নত হয়েছে। আমার আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়ে গিয়েছে। এটা আমার দ্বিতীয় ওলিম্পিকস্। ১৯ বছর বয়সে লন্ডন ওলিম্পিকসে গিয়ে আমার মাথায় সব কিছু তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। তখন বয়স ও অভিজ্ঞতা ছিল কম। এখন আমি সেই তুলনায় অনেক বেশি পরিণত।’এই মুহূর্তে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৬৫ নম্বরে রয়েছেন সৌম্যজিৎ। শিলিগুড়ির বাসিন্দা সৌম্যজিৎ বর্তমানে সুইডেনের ফলকেনবার্গে ক্লাব টি টি খেলে নিজেকে আরও পরিশীলিত করছেন। ওলিম্পিক কোয়ালিফিকেশনে তিনি বিশ্বের চৌদ্দ নম্বর জুং ইয়াংসুককে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান দখল করেন। সৌম্যজিৎ মনে করছেন, তিনি আন্তর্জাতিক মানে অনেকটাই উপরে উঠেছেন। তবে এখনও পর্যাপ্ত উন্নতির অবকাশ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভারতের শীর্ষস্থানীয় টেবল টেনিস খেলোয়াড়টি বলেন, ‘আমি সার্ভিসের উন্নতির জন্য পর্যাপ্ত পরিশ্রম করেছি। এখন কিছুটা হলেও তার সুফল পাচ্ছি। চাইনিজ প্রেয়ারদের মতো আমি এখন টেবল টেনিস বোর্ডের খুব কাছে দাঁড়াই। খেলি আক্রমণাত্মক ঢংয়ে প্রচুর স্ম্যাশ করি। এছাড়া নিজের ফিটনেস লেভেল উন্নতির জন্য ব্যক্তিগত ফিজিওর অধীনে শারীরিক কসরৎ করছি নিয়মিত। কেন্দ্রীয় সরকার এই ফিজিওর জন্য পারিশ্রমিক দিচ্ছে। আগস্টে রিও ওলিম্পিকসের আগে আমি স্লোভেনিয়া ওপেনে সিঙ্গলসে খেলব। আমার সুইডিশ কোচ পিটার কার্লসন আমাকে খুব বেশি টূর্নামেন্টে খেলতে নিষেধ করেছেন। চার বছর আগে লন্ডন ওলিম্পিকসের তুলনায় আমি এখন ভিন্ন গোত্রের প্লেয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যা রিও গেমসের আগে আমাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। সার্কিটে অনেক নামী প্লেয়ারই এখন আমাকে সমীহ করে। আশা করছি, রিও ওলিম্পিকসে ভালো খেলে আমি দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারব।’
No comments:
Post a Comment