আলভিটো আর চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের মর্যাদা পাচ্ছেন না
ভারতীয় ফুটবলে এমন দৃষ্টান্ত নেই। গত ১০ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে সুনীল ছেত্রীদের কাছে হারার পর ইস্তফা দেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ১৩ এপ্রিল ইস্ট বেঙ্গলের কোর গ্রুপ কোচ হিসাবে বেছে নেন ট্রেভর জেমস মরগ্যানকে। দিন পাঁচেকের মধ্যে শহরে এসে তিনি কোচিংয়ের দায়িত্ব তুলে নেন। তাঁর কোচিংয়ে ইস্ট বেঙ্গল আই লিগ এবং ফেড কাপে মিলিয়ে মোট তিনটি ম্যাচ খেলেছে। ঘটনা চক্রে, তিনটি ম্যাচই লাজং এফ সি’র বিরুদ্ধে। এই তিনটি ম্যাচে মধ্যে ইস্ট বেঙ্গল দুটি ম্যাচে হেরে যায়।
গত ৪ মে ফেড কাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ইস্ট বেঙ্গল ৯০ মিনিটের ম্যাচে জিতলে এগ্রিগেট হয়ে যায় ২-২। তাই অতিরিক্ত সময়ের খেলা হয়। ৯০ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গল ২-১ জিতলেও অতিরিক্ত সময়ে ২-২ হওয়ায় এগ্রিগেটে হেরে যায় ইস্ট বেঙ্গল। মরগ্যান সাকুল্যে কোচিং করান ২৩ এপ্রিল থেকে ৪ মে। সাকুল্যে ১২ দিন কোচিং করিয়েছেন। টানা তিনটি ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু ওই ১২ দিনের জন্য মরগ্যান পেয়েছেন সাত লাখ টাকা। ভারতীয় ফুটবলে এমন নির্মম রসিকতা এর আগে কোনও দিন হয়নি। ১২ দিনের জন্য মরগ্যান যে সাত লাখ নিয়ে গেলেন তা অস্বীকার করছেন না ফুটবল সচিব বাবু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,‘মরগ্যানের সঙ্গে এমন চুক্তিই হয়েছিল। ফেড কাপ ফাইনালে উঠলে এক মাস হয়ে যেত।’ কেন সাত লাখ? কারণ, কেরল ব্লাস্টার্সের সহকারী কোচ হিসাবে তিনি সাত লাখ পান। এক মাসের জন্য রিলিজ নিয়েছিলেন। তাই সাত লাখ দিতে বাধ্য ইস্ট বেঙ্গল। প্রশ্ন উঠছে, মরশুমের শেষ ১৩ দিনের জন্য সাত লাখ খরচ করে কেন মরগ্যানকে আনা হল? তবে কি এক পক্ষ আলভিটোকে পুষে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করছে? আর অপর পক্ষ মরগ্যানকে সামনে রেখে পালটা চাপ দিচ্ছে। ইউবি গ্রুপের প্রতিনিধির সঙ্গে মরগ্যানের সখ্যতাও কি কারণ? অতীতে ই পি এলের কোচদের মতো ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত টিমের সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠিয়ে অতীতে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন মরগ্যান। ফুটবল সচিব জানালেন, ‘৩১ আগস্ট পর্যন্ত মরগ্যানের সঙ্গে চুক্তি কেরল ব্লাস্টার্সের। তাঁকে রাখতে হলে আগস্ট পর্যন্ত মাসে সাত লাখ দিতে হবে। এরপরেও মাসে সাত লাখ টাকার দাবি করছেন মরগ্যান। ইস্ট বেঙ্গল অতটা দিতে রাজি নয়। মাসে পাঁচ লাখ পেতেন আর্মান্দো। তার কিছু বেশি দিতে চাইছেন ফুটবল সচিব। তাই চুক্তি না করে পারথে ফিরে গিয়েছেন ব্রিটিশ ভদ্রলোক। মৌখিক ভাবে অপছন্দের তালিকা দিয়েছেন। লিখিত ভাবে নতুনদেরও কোনও তালিকা দেননি।
মরগ্যানের অপছন্দের তালিকায় প্রবলভাবেই আছেন আলভিটো। ফুটবল সচিব যা বললেন, তাতে নতুন মরশুমে আলভিটো চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের মর্যাদা পাচ্ছেন না। বাবু ভট্টাচার্য বলেন, ‘আলভিটো যদি মনে করে একটি বিশেষ ম্যাচ খেলে বিদায় বা অবসর নেবেন তাহলে আমরা ভেবে দেখব।’ উল্লেখ্য, ইস্ট বেঙ্গল ড্রেসিংরুমের রাজনীতি নিয়ে প্রাক্তন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে র্যা ন্টি মার্টিন্স সরব ছিলেন। এরজন্য অনেকটাই দায়ী আলভিটো। বারাসতে আই লিগের শেষ ম্যাচে আলভিটো দর্শকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। সমর্থকরা তাঁকে দলের ‘ক্যানসার’ বলে অভিহিত করেন। নতুন মরশুমে আলভিটো যে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের মর্যাদা পাচ্ছেন না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়ান ফুটবলারটিকে। আপনারা আলভিটোকে কি অন্য ভাবে পুর্নবাসন দেবেন? ফুটবল সচিব বলেন,‘ মরগ্যান যদি চান তবে টেকনিক্যাল ম্যানেজার হতে পারে ও।’ তবে মরগ্যান কোচ থাকলে আলভিটোর সামনে নো-এন্ট্রি বোর্ড লেগে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল সচিবকে প্রশ্ন করা হয়,‘আইএসএলের দল গুলির বাজেট ৩৫ কোটি। ওরা সাত লাখ দিচ্ছে মরগ্যানকে। আর আপনাদের বাজেট ১৩ কোটি। তবুও মরগ্যানকে মাসে সাত লাখ দেবেন? ফুটবল সচিব পালটা বলেন,‘সওয়া কোটি দিয়ে বিদেশি ফুটবলার নেওয়া হচ্ছে। অল্প অর্থের স্বদেশি কোচ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না (ইঙ্গিত চট্টগ্রামে র্যা ন্টি- বিশ্বজিৎ, আই লিগে মেন্ডি- বিশ্বজিৎ ঝামেলা)। তাই বেশি অর্থে বিদেশি কোচ নিতে হচ্ছে।’ কিন্তু মরগ্যানের যা চাহিদা তাতে তো আপনারা ২০১২-১৩ মরশুমের থেকেও বেশি পেমেন্ট দিচ্ছেন। ফুটবল সচিব বলেন,‘সব জিনিসের দর বাড়ছে। আর্মান্দো যা পেতেন তার চেয়ে কিছু বেশি দিয়ে মরগ্যানের সঙ্গে ডিল ক্লোজড করতে চাইছি। ১৩ বছর আমরা আই লিগ পাইনি। দুই লিগের সংযুক্তিকরণের জন্য ১৭ মে প্রথম পর্যায়ের মিটিং। আগামী মরশুমে না পেলে ইস্ট বেঙ্গল কোনও দিনই আই লিগে নিজের নাম খোদাই করতে পারবে না। কর্তারা ১৩ বছর দল গড়েছি। রানার্স- এর চেয়ে বেশি কিছু হতে পারিনি। এবার ইউরোপিয়ান ধাঁচে কোচ মরগ্যানই নিজের পছন্দমতো দল গড়ুক। একবার দেখা যাক।’ ফুটবল-সচিব ইঙ্গিত দেন, সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে তিনি সময় না দিলেও এবার ফুটবল টিম চালাতে সময় দেবেন।
গত ৪ মে ফেড কাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ইস্ট বেঙ্গল ৯০ মিনিটের ম্যাচে জিতলে এগ্রিগেট হয়ে যায় ২-২। তাই অতিরিক্ত সময়ের খেলা হয়। ৯০ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গল ২-১ জিতলেও অতিরিক্ত সময়ে ২-২ হওয়ায় এগ্রিগেটে হেরে যায় ইস্ট বেঙ্গল। মরগ্যান সাকুল্যে কোচিং করান ২৩ এপ্রিল থেকে ৪ মে। সাকুল্যে ১২ দিন কোচিং করিয়েছেন। টানা তিনটি ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু ওই ১২ দিনের জন্য মরগ্যান পেয়েছেন সাত লাখ টাকা। ভারতীয় ফুটবলে এমন নির্মম রসিকতা এর আগে কোনও দিন হয়নি। ১২ দিনের জন্য মরগ্যান যে সাত লাখ নিয়ে গেলেন তা অস্বীকার করছেন না ফুটবল সচিব বাবু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,‘মরগ্যানের সঙ্গে এমন চুক্তিই হয়েছিল। ফেড কাপ ফাইনালে উঠলে এক মাস হয়ে যেত।’ কেন সাত লাখ? কারণ, কেরল ব্লাস্টার্সের সহকারী কোচ হিসাবে তিনি সাত লাখ পান। এক মাসের জন্য রিলিজ নিয়েছিলেন। তাই সাত লাখ দিতে বাধ্য ইস্ট বেঙ্গল। প্রশ্ন উঠছে, মরশুমের শেষ ১৩ দিনের জন্য সাত লাখ খরচ করে কেন মরগ্যানকে আনা হল? তবে কি এক পক্ষ আলভিটোকে পুষে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করছে? আর অপর পক্ষ মরগ্যানকে সামনে রেখে পালটা চাপ দিচ্ছে। ইউবি গ্রুপের প্রতিনিধির সঙ্গে মরগ্যানের সখ্যতাও কি কারণ? অতীতে ই পি এলের কোচদের মতো ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত টিমের সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠিয়ে অতীতে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন মরগ্যান। ফুটবল সচিব জানালেন, ‘৩১ আগস্ট পর্যন্ত মরগ্যানের সঙ্গে চুক্তি কেরল ব্লাস্টার্সের। তাঁকে রাখতে হলে আগস্ট পর্যন্ত মাসে সাত লাখ দিতে হবে। এরপরেও মাসে সাত লাখ টাকার দাবি করছেন মরগ্যান। ইস্ট বেঙ্গল অতটা দিতে রাজি নয়। মাসে পাঁচ লাখ পেতেন আর্মান্দো। তার কিছু বেশি দিতে চাইছেন ফুটবল সচিব। তাই চুক্তি না করে পারথে ফিরে গিয়েছেন ব্রিটিশ ভদ্রলোক। মৌখিক ভাবে অপছন্দের তালিকা দিয়েছেন। লিখিত ভাবে নতুনদেরও কোনও তালিকা দেননি।
মরগ্যানের অপছন্দের তালিকায় প্রবলভাবেই আছেন আলভিটো। ফুটবল সচিব যা বললেন, তাতে নতুন মরশুমে আলভিটো চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের মর্যাদা পাচ্ছেন না। বাবু ভট্টাচার্য বলেন, ‘আলভিটো যদি মনে করে একটি বিশেষ ম্যাচ খেলে বিদায় বা অবসর নেবেন তাহলে আমরা ভেবে দেখব।’ উল্লেখ্য, ইস্ট বেঙ্গল ড্রেসিংরুমের রাজনীতি নিয়ে প্রাক্তন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে র্যা ন্টি মার্টিন্স সরব ছিলেন। এরজন্য অনেকটাই দায়ী আলভিটো। বারাসতে আই লিগের শেষ ম্যাচে আলভিটো দর্শকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। সমর্থকরা তাঁকে দলের ‘ক্যানসার’ বলে অভিহিত করেন। নতুন মরশুমে আলভিটো যে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের মর্যাদা পাচ্ছেন না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়ান ফুটবলারটিকে। আপনারা আলভিটোকে কি অন্য ভাবে পুর্নবাসন দেবেন? ফুটবল সচিব বলেন,‘ মরগ্যান যদি চান তবে টেকনিক্যাল ম্যানেজার হতে পারে ও।’ তবে মরগ্যান কোচ থাকলে আলভিটোর সামনে নো-এন্ট্রি বোর্ড লেগে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল সচিবকে প্রশ্ন করা হয়,‘আইএসএলের দল গুলির বাজেট ৩৫ কোটি। ওরা সাত লাখ দিচ্ছে মরগ্যানকে। আর আপনাদের বাজেট ১৩ কোটি। তবুও মরগ্যানকে মাসে সাত লাখ দেবেন? ফুটবল সচিব পালটা বলেন,‘সওয়া কোটি দিয়ে বিদেশি ফুটবলার নেওয়া হচ্ছে। অল্প অর্থের স্বদেশি কোচ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না (ইঙ্গিত চট্টগ্রামে র্যা ন্টি- বিশ্বজিৎ, আই লিগে মেন্ডি- বিশ্বজিৎ ঝামেলা)। তাই বেশি অর্থে বিদেশি কোচ নিতে হচ্ছে।’ কিন্তু মরগ্যানের যা চাহিদা তাতে তো আপনারা ২০১২-১৩ মরশুমের থেকেও বেশি পেমেন্ট দিচ্ছেন। ফুটবল সচিব বলেন,‘সব জিনিসের দর বাড়ছে। আর্মান্দো যা পেতেন তার চেয়ে কিছু বেশি দিয়ে মরগ্যানের সঙ্গে ডিল ক্লোজড করতে চাইছি। ১৩ বছর আমরা আই লিগ পাইনি। দুই লিগের সংযুক্তিকরণের জন্য ১৭ মে প্রথম পর্যায়ের মিটিং। আগামী মরশুমে না পেলে ইস্ট বেঙ্গল কোনও দিনই আই লিগে নিজের নাম খোদাই করতে পারবে না। কর্তারা ১৩ বছর দল গড়েছি। রানার্স- এর চেয়ে বেশি কিছু হতে পারিনি। এবার ইউরোপিয়ান ধাঁচে কোচ মরগ্যানই নিজের পছন্দমতো দল গড়ুক। একবার দেখা যাক।’ ফুটবল-সচিব ইঙ্গিত দেন, সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে তিনি সময় না দিলেও এবার ফুটবল টিম চালাতে সময় দেবেন।
No comments:
Post a Comment