ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় পর্বের সেমি- ফাইনালে নামার আগে মোহন বাগানকে কিছুটা সতর্ক করে দিয়েই শিলং লাজং এফ সি’র কোচ থমবই সিংটো জানিয়েছেন, ‘যে বারাসতে প্রথম গোল খাওয়ার আগে আমরাই ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। শনিবার আমাদের হোম ম্যাচ। অনেক কিছুই হতে পারে।’
তবে থমবই সিংটোর থেকে আরও এক কাঠি উপরে উঠে লাজংয়ের মিডিও পেন ওরজি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শনিবারের ম্যাচে পাঁচ গোল কেন সাত গোলও হতে পারে। সাত গোলটি যে লাজংই দেবে তা পেন সরাসরি বলেননি। এমন ভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন যাতে সুস্পষ্টভাবেই মনে হয়েছে লাজং মোহন বাগানকে সাত গোল দিতেই পারে। আর পেনের এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য ঘিরে মোহন বাগান শিবিরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রীতিমতো তেতে উঠেছে মোহন বাগান ফুটবলাররা। সন্ধ্যায় মোহন বাগান কোচ সঞ্জয় সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা আপাতত শান্তই রয়েছে। পাঁচ গোলে এগিয়ে থাকলেও আত্মতুষ্টির কোনও কারণ নেই। আমরা কিন্তু পাঁচ গোল দেওয়ার পরও পেনাল্টি প্র্যাকটিস করেছি। তারপরও দলে আত্মতুষ্টি আসার যেটুকু সম্ভাবনা ছিল তা পেনের মন্তব্যে কেটে গিয়েছে। ছেলেদের আমি সতর্ক করে দিয়েছি। পেন এই দলের হঠাৎ চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে। কিঞ্চিৎ শরীর নির্ভর ফুটবল খেলছে। আমি ছেলেদের বলে দিয়েছি কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দিতে। কারণ সদস্য- সমর্থকদের জন্য এই ট্রফিটি আমরা জিততে চাই। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে আই লিগ। সেই দুঃখ ভুলতে ফেড কাপ জেতাটা খুব প্রয়োজন। আর্থিক সমস্যার মধ্যে কর্তারাও চেষ্টা করেছেন। কর্তাদের মতোই আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার পরও প্রবলভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমথর্করা। ওদের জন্য ফেড কাপ জেতা প্রয়োজন।’
সঞ্জয় সেন এই ম্যাচ নিয়ে ভীষণ ফোকাসড। তিনি বলেছেন,‘এটি আরও একটি মাচ। আমরা ০-০ অবস্থায় শুরু করছি এমনভাবেই ধরে নিতে হবে। ছেলেদেরও বলেছি সেই কথা। বুধবার এ এফ সি কাপে যে দল খেলেছিল সেই দলে প্রচুর বদল হচ্ছে। গোলে খেলছেন দেবজিৎ মজুমদার। রক্ষণে প্রীতম কোটাল, লুসিয়ানো, রাজু গায়কোয়াড, ধনচন্দ্র সিং। মাঝমাঠে খেলবেন কাটসুমি, লেনি, বিক্রমজিৎ, সনি নর্ডি। আপফ্রন্টে জেজে আর কর্নেল গ্লেন। মোহন বাগান লাজংয়ে সঞ্জয় সেনের আমলে কোনও ম্যাচ জেতেনি। সেই রেকর্ড ভাঙতে চাইছেন মোহন কোচ। অন্যদিকে লাজংয়ের রক্ষণ শনিবারও স্বদেশিদের নিয়ে গড়া। তবে রবিন গুরুং খেলবেন। এতে কিঞ্চিৎ শক্তপোক্ত হবে শিলং দলটির রক্ষণ। পাঁচ গোলে পিছিয়ে থাকলেও মাঠে প্রায় ১৫-১৭ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন উইলিয়াম-ফাবিও পেনা- বৈঠাংদের উৎসাহিত করতে। মাঝমাঠে প্রণয় না খেলায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবেন পেন। মোহন বাগান কোনওভাবে লিড পেয়ে গেলে সনি বা গ্লেনকে হয়তো ৭০ মিনেটের পর তুলে নেবেন মোহন কোচ। তিনি ম্যাচটি জিততে চাইছেন। ফেড কাপ ফাইনালের আগে ম্যাচটি জিততে পারলে মানসিকভাবে তরতাজা থাকবে বাগান ফুটবলাররা। খেলা শুরু বিকেল পাঁচটায়। ওই সময়ে শিলংয়ের আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। তাই দুই পর্বে জিতে ফেড কাপ ফাইনালে যেতে চায় মোহন বাগান। ফাইনালে স্পোর্টিং বা আইজলের মধ্যে কোনও ‘চয়েস’ নেই মোহন বাগানের।
No comments:
Post a Comment