অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১ বায়ার্ন মিউনিখ ০
(সল নিগুয়েজ)
ম্যাচ দেখে মন ভরল না।
লেখার শুরুটা নেতিবাচক হলে, পড়ার আগ্রহ কমে যায়। কিন্তু, এর থেকে অন্য কিছু লিখে শুরুটা করতে মন চাইল না। কেন চাইবে? চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের খেলায় মুখোমুখি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-বায়ার্ন মিউনিখ। দুই দলে নামী ফুটবলার, দুই দলেই সমঝদার কোচ। তাও কি না এমন খেলা! কেমন যেন সুর-তাল বিহীন ফুটবল! হ্যাঁ মানছি, সল নিগুয়েজের গোলটায় মুনশিয়ানার ছাপ ছিল। ওই মুহূর্তটায় ভাল লাগার রদস ছিল। কিন্তু বাদ বাকি? বলার মতো কতটুকু ছিল?
পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাচে বল পজেশনে বায়ার্ন অনেকটা এগিয়ে অ্যাটলেটিকোর থেকে। বায়ার্নের বল পজেশন যেখানে ৭৪ শতাংশ, অ্যাটলেটিকো সেখানে মাত্র ২৬! পাসের সংখ্যায়ও বায়ার্ন কয়েক মাইল এগিয়ে। গুয়ারদিওলার দল ৬১৪টি পাস খেলেছে! সেখানে টিম সিমিওনে ১৫৯টি। কিন্তু এই তফাত, ম্যাচটা বোঝার পক্ষে যথেষ্ট নয়। এই দুই ক্ষেত্রে বায়ার্ন এগিয়ে থাকলেও, কাজের কাজটা করেছে অ্যাটলেটিকোই। ফুটবলে বল পজেশন অত্যন্ত জরুরি। মানছি। কিন্তু বল পজেশনই সব, এটা মানছি না। সব হলে কি আর ম্যাচটা বায়ার্ন হারত! বৈচিত্র্য চাই খেলায়।
গুয়ারদিওলার দলের ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার আগে, এই ম্যাচটার মনে রাখার মতো মুহূর্ত যেটা, সেটা বলি। ১১ মিনিটে সল নিগুয়েজের গোলটা একক দক্ষতার ফসল। ফুটবল টিমগেম হলেও এই ধরণের গোল করতে সতীর্থদের সাহায্য লাগে না। মাঝমাঠ থেকে ছেলেটা বল ধরল। প্রথমে থিয়াগো আলকানতারা, তারপর হুয়ান বার্নাট এবং জাবি আলোন্সোর চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ঢুকে পড়ল পেনাল্টি বক্সের ভেতর। সেখানে আলাবার বাধা অতিক্রম করে বাঁ পায়ের জোরালো শট। যা বোকা বানিয়ে ছাড়ল বায়ার্নের পোড়খাওয়া গোলরক্ষক ন্যুয়েরকে। চারজনকে কাটিয়ে সত্যিই অবিশ্বাস্য গোল! আবার ফিরছি বায়ার্নে। বুধবার রাতে দলটার সবচেয়ে বড় খামতির জায়গা কোনটা? আমি বলব, গুয়ারদিওলার পরিকল্পনা। জানি, গুয়ারদিওলার কোচ হিসেবে অনেক অনেক নাম-ডাক। তবু এই কথাটা বলতে বাধ্য হচ্ছি কারণ, টমাস মুলারকে শুরু থেকে খেলাননি! সারা বিশ্বে এমন কয়েকজন ফুটবলার আছে, যাদের খেলা দেখার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকেন। মুলারও তেমন একজন ফুটবলার। মুলার দলে থাকলে, শুরু থেকে যে ছন্দ তৈরি হয়, সেটাই তো এদিন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে তৈরি হল না। বায়ার্নের খেলা দানাই বাঁধল না! মুলারের অনুপস্থিতিটা বারবার চোখে পড়ল। তবু গুয়ারদিওলা আলকানতারাকে খেলিয়েই গেলেন! ৭০ মিনিটে যখন মুলার নামল, তখন খেলা প্রায় শেষ। যে শুরু থেকে দলের চেহারা বদলে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তাকে অত পরে নামালে প্রত্যাশাপূরণ হয় না। হয়নিও। মুলারকে কেন পরে নামালেন গুয়ারদিওলা? চোটের কারণে কী? যদি সত্যিই সেটা হয়, তা হলে ৭০ মিনিটে মুলারকে নামানোর সাহস দেখালেন কেন কোচ? উত্তরটা গুয়ারদিওলাই দিতে পারবেন। বায়ার্ন কোচ, রিবেরিকেও এদিন পরে নামিয়েছেন। তবে রিবেরিকে দেখে তেমন লাগল না। দেখে মনে হল, ওর দিন ফুরিয়ে এসেছে।
উল্টোদিকে অ্যাটলেটিকো শিবিরে টোরেসকে দেখে বরং ভাল লাগল। অ্যাটলেটিকো রক্ষণাত্মক ফুটবলের জন্য পরিচিত। কিন্তু এদিন সিমিওনের দল কিন্তু আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল। আর এই মেজাজটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল নিগুয়েজ গোলটা করে। তবে গোলটা খাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বায়ার্ন। ভিদালের হেড, কোনওরকমে বাঁচিয়ে দেয় গিমিনেজ। এরপর আরও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। কোস্তা একটা ভাল ফ্রি-কিক পেয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ডেভিড আলাবার ৩৫ গজ দূর থেকে জোরালো শট ক্রসবারে লাগে। সুযোগ পেয়েছিল লেওয়ানডস্কিও। কিন্তু এই সুযোগগুলো শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের চাহিদা মেটাতে পারেনি।
এখন প্রশ্ন হল, ফিরতি লিগে কী হবে? সিমিওনের দল ১ গোলে এগিয়ে আছে। কিন্তু ফিরতি লেগে খেলাটা যে বায়ার্নের ঘরের মাঠে। তাই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই ১ গোলে এগিয়ে থাকাটা বিরাট কিছু ব্যাপার নয়। ঘরের মাঠে সব সমর্থন থাকবে বায়ার্নের দিকে। তার ওপর বায়ার্নের যা শক্তি, তাতে ওরা যে কোনও সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই ফিরতি লেগে বায়ার্নেরই অ্যাডভান্টেজ। হ্যাঁ, হ্যাঁ, প্রথম লেগে গুয়ারদিওলার দল হেরে যাওয়ার পরও, এই কথাটা লিখলাম। ভেবে-চিন্তেই লিখলাম।
লেখার শুরুটা নেতিবাচক হলে, পড়ার আগ্রহ কমে যায়। কিন্তু, এর থেকে অন্য কিছু লিখে শুরুটা করতে মন চাইল না। কেন চাইবে? চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের খেলায় মুখোমুখি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-বায়ার্ন মিউনিখ। দুই দলে নামী ফুটবলার, দুই দলেই সমঝদার কোচ। তাও কি না এমন খেলা! কেমন যেন সুর-তাল বিহীন ফুটবল! হ্যাঁ মানছি, সল নিগুয়েজের গোলটায় মুনশিয়ানার ছাপ ছিল। ওই মুহূর্তটায় ভাল লাগার রদস ছিল। কিন্তু বাদ বাকি? বলার মতো কতটুকু ছিল?
পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাচে বল পজেশনে বায়ার্ন অনেকটা এগিয়ে অ্যাটলেটিকোর থেকে। বায়ার্নের বল পজেশন যেখানে ৭৪ শতাংশ, অ্যাটলেটিকো সেখানে মাত্র ২৬! পাসের সংখ্যায়ও বায়ার্ন কয়েক মাইল এগিয়ে। গুয়ারদিওলার দল ৬১৪টি পাস খেলেছে! সেখানে টিম সিমিওনে ১৫৯টি। কিন্তু এই তফাত, ম্যাচটা বোঝার পক্ষে যথেষ্ট নয়। এই দুই ক্ষেত্রে বায়ার্ন এগিয়ে থাকলেও, কাজের কাজটা করেছে অ্যাটলেটিকোই। ফুটবলে বল পজেশন অত্যন্ত জরুরি। মানছি। কিন্তু বল পজেশনই সব, এটা মানছি না। সব হলে কি আর ম্যাচটা বায়ার্ন হারত! বৈচিত্র্য চাই খেলায়।
গুয়ারদিওলার দলের ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার আগে, এই ম্যাচটার মনে রাখার মতো মুহূর্ত যেটা, সেটা বলি। ১১ মিনিটে সল নিগুয়েজের গোলটা একক দক্ষতার ফসল। ফুটবল টিমগেম হলেও এই ধরণের গোল করতে সতীর্থদের সাহায্য লাগে না। মাঝমাঠ থেকে ছেলেটা বল ধরল। প্রথমে থিয়াগো আলকানতারা, তারপর হুয়ান বার্নাট এবং জাবি আলোন্সোর চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ঢুকে পড়ল পেনাল্টি বক্সের ভেতর। সেখানে আলাবার বাধা অতিক্রম করে বাঁ পায়ের জোরালো শট। যা বোকা বানিয়ে ছাড়ল বায়ার্নের পোড়খাওয়া গোলরক্ষক ন্যুয়েরকে। চারজনকে কাটিয়ে সত্যিই অবিশ্বাস্য গোল! আবার ফিরছি বায়ার্নে। বুধবার রাতে দলটার সবচেয়ে বড় খামতির জায়গা কোনটা? আমি বলব, গুয়ারদিওলার পরিকল্পনা। জানি, গুয়ারদিওলার কোচ হিসেবে অনেক অনেক নাম-ডাক। তবু এই কথাটা বলতে বাধ্য হচ্ছি কারণ, টমাস মুলারকে শুরু থেকে খেলাননি! সারা বিশ্বে এমন কয়েকজন ফুটবলার আছে, যাদের খেলা দেখার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকেন। মুলারও তেমন একজন ফুটবলার। মুলার দলে থাকলে, শুরু থেকে যে ছন্দ তৈরি হয়, সেটাই তো এদিন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে তৈরি হল না। বায়ার্নের খেলা দানাই বাঁধল না! মুলারের অনুপস্থিতিটা বারবার চোখে পড়ল। তবু গুয়ারদিওলা আলকানতারাকে খেলিয়েই গেলেন! ৭০ মিনিটে যখন মুলার নামল, তখন খেলা প্রায় শেষ। যে শুরু থেকে দলের চেহারা বদলে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তাকে অত পরে নামালে প্রত্যাশাপূরণ হয় না। হয়নিও। মুলারকে কেন পরে নামালেন গুয়ারদিওলা? চোটের কারণে কী? যদি সত্যিই সেটা হয়, তা হলে ৭০ মিনিটে মুলারকে নামানোর সাহস দেখালেন কেন কোচ? উত্তরটা গুয়ারদিওলাই দিতে পারবেন। বায়ার্ন কোচ, রিবেরিকেও এদিন পরে নামিয়েছেন। তবে রিবেরিকে দেখে তেমন লাগল না। দেখে মনে হল, ওর দিন ফুরিয়ে এসেছে।
উল্টোদিকে অ্যাটলেটিকো শিবিরে টোরেসকে দেখে বরং ভাল লাগল। অ্যাটলেটিকো রক্ষণাত্মক ফুটবলের জন্য পরিচিত। কিন্তু এদিন সিমিওনের দল কিন্তু আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল। আর এই মেজাজটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল নিগুয়েজ গোলটা করে। তবে গোলটা খাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বায়ার্ন। ভিদালের হেড, কোনওরকমে বাঁচিয়ে দেয় গিমিনেজ। এরপর আরও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। কোস্তা একটা ভাল ফ্রি-কিক পেয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ডেভিড আলাবার ৩৫ গজ দূর থেকে জোরালো শট ক্রসবারে লাগে। সুযোগ পেয়েছিল লেওয়ানডস্কিও। কিন্তু এই সুযোগগুলো শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের চাহিদা মেটাতে পারেনি।
এখন প্রশ্ন হল, ফিরতি লিগে কী হবে? সিমিওনের দল ১ গোলে এগিয়ে আছে। কিন্তু ফিরতি লেগে খেলাটা যে বায়ার্নের ঘরের মাঠে। তাই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই ১ গোলে এগিয়ে থাকাটা বিরাট কিছু ব্যাপার নয়। ঘরের মাঠে সব সমর্থন থাকবে বায়ার্নের দিকে। তার ওপর বায়ার্নের যা শক্তি, তাতে ওরা যে কোনও সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই ফিরতি লেগে বায়ার্নেরই অ্যাডভান্টেজ। হ্যাঁ, হ্যাঁ, প্রথম লেগে গুয়ারদিওলার দল হেরে যাওয়ার পরও, এই কথাটা লিখলাম। ভেবে-চিন্তেই লিখলাম।
No comments:
Post a Comment