খেলার জগতের মানু্ষের রাজনীতিতে আসা পছন্দ করেন। নিজেও এসেছেন সেজন্য। কিন্তু এটা পছন্দ করেন না যে খেলা চলাকালীন কোনও ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে আসুন। যেমন, পছন্দ করছেন না মেরি কমের রাজ্যসভায় এখনই আসা। কারণ, মেরি কম এখনও খেলা ছাড়েননি। তিনি সময় দেবেন কীভাবে? যথার্থ প্রশ্ন তুেলছেন বিধানসভায় শিলিগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়া। বুধবার বিকেলে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের ‘টক শো’–তে এমনই মন্তব্য করছেন বাইচুং।
‘আমি মনে করি রাজনীতিতে ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের আসা উচিত। তা হলে রাজনৈতিক মহল আরও স্বচ্ছ হবে। তবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজনীতিতে প্রবেশ করা উচিত নয়। দু’দিকই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। খেলা ছাড়ার পর মেরি কম রাজ্যসভায় যেতে পারত।’ নিজে রাজনীতিতে সড়গড় হয়েছেন। বছর দুয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে একেবারেই ‘আনকোরা’ ছিলেন। জানাচ্ছেন বাইচুং স্বয়ং। ‘আমি তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নির্বাচন শেষ হয়ে গেছিল। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি অনেক বেশি গুছিয়ে নিতে পেেরছি। প্রচারেও নিজেকে অনেকটা গোছাতে েপরেছি। সবদিক দিয়ে বলতে পারি রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি।’
ফুটবলের পরিভাষায় মমতা ব্যানার্জিকে ‘ম্যানেজার অফ টি এম সি’ বলছেন বাইচুং। ‘ফুটবলে যেমন ম্যানেজারই শেষ কথা। তিনিই টিমকে ম্যানেজ করেন। দলের মধ্যে তারকাদের ইগো সামলান। ঠিক সেরকমই আমাদের দলে মমতা ব্যানার্জি হলেন ম্যানেজার। তিনিই দলকে পরিচালিত করেন। আমি মাঠের সঙ্গে মিল খুঁজে পাই। আমার সঙ্গে দিদির সম্পর্ক সত্যি ভাল।’ এবার তাঁকে তৃণমূল সুপ্রিমো শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের মতো ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন। গতবার লোকসভায় দার্জিলিঙের মতো কঠিন কেন্দ্রেও। না, মেঠো বুদ্ধি দিয়ে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়েছেন বাইচুং। ‘আমি যখন খেলতাম তখন যদি ভারত জার্মানির মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে যেত তা হলে কি আমি ম্যানেজার বা কোচকে বলতাম যে জার্মানি কঠিন দল, খেলব না? তখনও যেমন বলতাম না এখানেও বলব না। আমাকে দল যেখানে দাঁড়াতে বলবে আমি দলের অনুগত প্লেয়ার হিসেবে সেখানেই দাঁড়াব। আমার ফুটবল জীবনেও সেটাই করেছি। মানছি, অশোক ভট্টাচার্য হেভিওয়েট। রাজ্যে বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম। তাই বলে আমি পালিয়ে যাব তা করিনি। লড়েছি। জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ইদানীং শুরু হওয়া বিতর্কে যোগ দিয়েছেন বাইচুং। পাশে বসা প্রাক্তন হকি তারকা গুরুবক্স সিং যখন রিও অলিম্পিকে অভিনেতা সলমন খানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়াকে সমর্থন করলেন না কোনওভােবই তখন বাইচং খোলাখুলি দাঁড়ালেন সলমনের পাশে। ‘কেন হবেন না সলমন? উনি তো আর নিজে গিয়ে বলেননি তাঁকে ভারতীয় প্রতিনিধিদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে। কর্তৃপক্ষ মনে করেছেন। প্রয়োজনের তাগিদেই তাঁকে করা হয়েছে। আমি সলমনের বিপক্ষে নই। এখন তো খেলাধুলোকে সমর্থন করার জন্য অভিনেতা–অভিনেত্রী আসছেন। আই পি এলে, আই এস এলে দেখি। ভালই তো। এতে তো প্রচার হয়। আশা করব সলমনের গঠনমূলক ভূমিকা থাকবে। আমি এতে কোনও ভুল দেখছি না।’
প্রসঙ্গ উঠেছে তাঁর দলের নেতা, মন্ত্রীদের নারদা–কাণ্ডের। বাইচুং সপ্রতিভভাবে উত্তর দিয়েছেন,‘আমি এটা নিয়ে কিছু বলব না। তদন্ত চলছে। তবে আমি কেন্দ্রের বি জে পি সরকারকে বলতে চাই আপনারা তো ক্ষমতায় আছেন, তা হলে বিল তৈরি করুন দেশের সব ক’টি রাজনৈতিক দলকে আর টি আইয়ের আওতায় আনার। তা হলে সব বিতর্ক ধুয়ে মুছে যাবে।’
‘আমি মনে করি রাজনীতিতে ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের আসা উচিত। তা হলে রাজনৈতিক মহল আরও স্বচ্ছ হবে। তবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজনীতিতে প্রবেশ করা উচিত নয়। দু’দিকই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। খেলা ছাড়ার পর মেরি কম রাজ্যসভায় যেতে পারত।’ নিজে রাজনীতিতে সড়গড় হয়েছেন। বছর দুয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে একেবারেই ‘আনকোরা’ ছিলেন। জানাচ্ছেন বাইচুং স্বয়ং। ‘আমি তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নির্বাচন শেষ হয়ে গেছিল। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি অনেক বেশি গুছিয়ে নিতে পেেরছি। প্রচারেও নিজেকে অনেকটা গোছাতে েপরেছি। সবদিক দিয়ে বলতে পারি রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি।’
ফুটবলের পরিভাষায় মমতা ব্যানার্জিকে ‘ম্যানেজার অফ টি এম সি’ বলছেন বাইচুং। ‘ফুটবলে যেমন ম্যানেজারই শেষ কথা। তিনিই টিমকে ম্যানেজ করেন। দলের মধ্যে তারকাদের ইগো সামলান। ঠিক সেরকমই আমাদের দলে মমতা ব্যানার্জি হলেন ম্যানেজার। তিনিই দলকে পরিচালিত করেন। আমি মাঠের সঙ্গে মিল খুঁজে পাই। আমার সঙ্গে দিদির সম্পর্ক সত্যি ভাল।’ এবার তাঁকে তৃণমূল সুপ্রিমো শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের মতো ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন। গতবার লোকসভায় দার্জিলিঙের মতো কঠিন কেন্দ্রেও। না, মেঠো বুদ্ধি দিয়ে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়েছেন বাইচুং। ‘আমি যখন খেলতাম তখন যদি ভারত জার্মানির মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে যেত তা হলে কি আমি ম্যানেজার বা কোচকে বলতাম যে জার্মানি কঠিন দল, খেলব না? তখনও যেমন বলতাম না এখানেও বলব না। আমাকে দল যেখানে দাঁড়াতে বলবে আমি দলের অনুগত প্লেয়ার হিসেবে সেখানেই দাঁড়াব। আমার ফুটবল জীবনেও সেটাই করেছি। মানছি, অশোক ভট্টাচার্য হেভিওয়েট। রাজ্যে বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম। তাই বলে আমি পালিয়ে যাব তা করিনি। লড়েছি। জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ইদানীং শুরু হওয়া বিতর্কে যোগ দিয়েছেন বাইচুং। পাশে বসা প্রাক্তন হকি তারকা গুরুবক্স সিং যখন রিও অলিম্পিকে অভিনেতা সলমন খানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়াকে সমর্থন করলেন না কোনওভােবই তখন বাইচং খোলাখুলি দাঁড়ালেন সলমনের পাশে। ‘কেন হবেন না সলমন? উনি তো আর নিজে গিয়ে বলেননি তাঁকে ভারতীয় প্রতিনিধিদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে। কর্তৃপক্ষ মনে করেছেন। প্রয়োজনের তাগিদেই তাঁকে করা হয়েছে। আমি সলমনের বিপক্ষে নই। এখন তো খেলাধুলোকে সমর্থন করার জন্য অভিনেতা–অভিনেত্রী আসছেন। আই পি এলে, আই এস এলে দেখি। ভালই তো। এতে তো প্রচার হয়। আশা করব সলমনের গঠনমূলক ভূমিকা থাকবে। আমি এতে কোনও ভুল দেখছি না।’
প্রসঙ্গ উঠেছে তাঁর দলের নেতা, মন্ত্রীদের নারদা–কাণ্ডের। বাইচুং সপ্রতিভভাবে উত্তর দিয়েছেন,‘আমি এটা নিয়ে কিছু বলব না। তদন্ত চলছে। তবে আমি কেন্দ্রের বি জে পি সরকারকে বলতে চাই আপনারা তো ক্ষমতায় আছেন, তা হলে বিল তৈরি করুন দেশের সব ক’টি রাজনৈতিক দলকে আর টি আইয়ের আওতায় আনার। তা হলে সব বিতর্ক ধুয়ে মুছে যাবে।’
No comments:
Post a Comment