আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বেঙ্গালুরুকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ।
সোমবার নিজেদের মাঠে প্র্যাকটিসের পর বাগান কোচ সঞ্জয় সেন বলে দিলেন, ‘‘মোহনবাগান, না বেঙ্গালুরু, কাদের ধারাবাহিকতা বেশি ভাল, কারা ভাল টিম ফেড কাপের পরেই প্রমাণ হয়ে যাবে।’’
ফেড কাপের আগেই অবশ্য সদ্য আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি-র মুখোমুখি হচ্ছে সঞ্জয়ের বাগান। আই লিগের শেষ ম্যাচে। যে ম্যাচ জিততে মরিয়া কাতসুমিরা। যার কারণ হিসেবে মুখে আই লিগ রানার্স হওয়া টার্গেট বললেও আসলে চ্যাম্পিয়ন টিমকে পরের ম্যাচেই হারিয়ে নিজেদের লিগ হারানোর ক্ষতে মলম লাগাতে চাইছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এ বারের আই লিগে প্রথম লেগেও সুনীল ছেত্রীদের দু’গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান।
আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার আফসোসকে সঙ্গী করে এ দিনই ফেড কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সনি নর্ডিরা। সঙ্গে কাটাছেঁড়া চলছে আই লিগে ব্যর্থ হওয়ার কারণগুলো নিয়ে। সনি যেমন তিনটে কারণের কথা বলছেন— ১) লিগের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোচ সঞ্জয় সেনের চার ম্যাচ নির্বাসন। ২) ফিরতি ডার্বির দিন সহকারী কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে রেফারির মাঠ থেকে বের করে দেওয়া। ৩) লিগের শেষ দিকে সনির নিজের আচমকা চোট সমস্যা। ‘‘এগুলো না ঘটলে হয়তো আই লিগের চূড়ান্ত রেজাল্ট অন্য রকম হতে পারত।’’
সনির কোচ আবার মনে করছেন, ডার্বিতে শেষ মিনিটে জেজের নিজে পেনাল্টি মারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, লাজং শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়া, সহজ আইজল ম্যাচ হেরে বসাও বাগানের আই লিগ খেতাব খোয়ানোর অন্যতম ফ্যাক্টর। বাগান জার্সিতে দু’বার জাতীয় লিগ জেতা হোসে ব্যারেটো আবার এ দিন সংবাদমাধ্যমের কাছে বাখ্যা দিয়েছেন, মোহনবাগানের মধ্যে এ বার আই লিগে একটা সময়ের পর আত্মতুষ্টি এসে পড়েছিল। ‘‘মোহনবাগান এ বার খেতাবের অন্যতম দাবিদার ছিল ঠিকই। তবে মনে হয়, ওরা আত্মতুষ্টির শিকার হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি অবশ্য সনির চোট আর কোচের চার ম্যাচ সাসপেনশন থাকাও আরও দু’টো কারণ।’’ এর সঙ্গে সবুজ তোতা আরও যোগ করছেন, ‘‘শেষের ম্যাচগুলোতে মোহনবাগান বিশ্রী ভাবে পয়েন্ট নষ্ট করেছে। লাজং ম্যাচটা আমি দেখেছি। সে দিন মোহনবাগান ফুটবলাররা একশো ভাগ দেয়নি।’’
এখন ২৩ এপ্রিল চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটা সুযোগ থাকছে মোহনবাগানের। সেই ম্যাচে সনি খেলবেন বলে জানিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, ‘‘এখন হাঁটুর চোট অনেক ভাল। প্র্যাকটিস করলাম। ব্যথা হয়নি। তেইশের ম্যাচ খেলব।’’
No comments:
Post a Comment