মুম্বই: সাফল্যের তালিকায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুটি ব্রোঞ্জ। তবু স্বাভাবিক ভাবেই তঁার চোখ রিওতে অভিষেক অলিম্পিকে দেশকে পদক এনে দেওয়া। ‘এটা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে অনেক বড় ব্যাপার। যে কোনও ক্রীড়াবিদের চূড়ান্ত লক্ষ্যই থাকে অলিম্পিক পদক জেতা। যদিও সেখানে পরিবেশ, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। তবুও আমি উত্তেজিত। যতই হোক এটা আমার প্রথম অলিম্পিক।’ এক নাগাড়ে কথাগুলো বলছিলেন পি ভি সিন্ধু।
ভারতের সাতজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এবার রিও অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। লন্ডন অলিম্পিকের থেকে সংখ্যাটা দুই বেশি। সিন্ধুর কথায়, ‘ব্যাপারটা দারুণ। আমার মতো শ্রীকান্তেরও এটাই প্রথম অলিম্পিক। ও একইরকম উত্তেজিত। তবে যাই হোক, অলিম্পিকে সাফল্যের জন্য আমরা প্রত্যেকেই কোর্টে এবং কোর্টের বাইরে কঠোর পরিশ্রম করছি। ট্রেনিং চলছে। প্রধান লক্ষ্য ফিট থাকা এবং চোটমুক্ত রাখা।’ মঞ্চটা অলিম্পিক, তাই লড়াই কঠিন হলেও বাড়তি চাপ হবে, এমনটা মানছেন না সিন্ধু। বলেন, ‘যেহেতু অলিম্পিক, সুতরাং ভাল খেলতে হবে। সবকিছুই মাথায় রয়েছে, তবে সেটা বাড়তি চাপ নয়। অবশ্য প্রথম অলিম্পিক হওয়ায় এক ম্যাচ না খেলা পর্যন্ত কোনওকিছুই বলতে পারব না।’ গতবছর চোটের জন্য অনেকটা সময় কোর্টের বাইরে কাটাতে হয়েছিল সিন্ধুকে। কোর্টে ফিরেও খুব বেশি সাফল্য নেই। সেকথা মেনে নিয়ে সিন্ধু বলেন, ‘বেশ কিছু ভাল ম্যাচ সামান্য পয়েন্টের ব্যাবধানে হারতে হয়েছে। কখনও কখনও সেটা হতাশাজনক। আবার অন্যভাবে দেখলে, এই অভিজ্ঞতা একটা শিক্ষা।’ লন্ডন অলিম্পিক থেকে দেশকে ব্রোঞ্জ এনে দেওয়া সাইনাকে এক্ষেত্রে নিজের অনুপ্রেরণা বলছেন সিন্ধু। ‘সাইনাকে দেখে মনে হয়, কঠোর পরিশ্রম করে আমিও ভাল কিছু করতে পারব। দেশকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে। সত্যি বলতে, ও আমার অনুপ্রেরণা’, বলেন সিন্ধু। গতবার সাইনা অলিম্পিক পদক নিয়ে দেশে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে যে উন্মাদনা হয়েছিল, সেটা আজও মনে রয়েছে সিন্ধুর। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘যেভাবে সবাই এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল, সেটা সত্যিই দারুণ গর্বের ব্যাপার।’ অলিম্পিকে দুই হায়দরাবাদিকে মুখোমুখি হতে হলে, কোর্টের বাইরের বন্ধুত্ব যে তাঁদের খেলায় প্রভাব ফেলবে না, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন সিন্ধু। নিজের খেলার পাশাপাশি রিওতে বোল্টের দিকেও যে তাঁর নজর থাকবে, জানিয়েছেন সিন্ধু। তঁার কথায়, ‘প্রত্যেক খেলায় কিছু কিংবদন্তি থাকে। কমনওয়েলথে বোল্টকে ছুটতে দেখেছি। তবে রিওতে ১০০ মিটারে বোল্টের দৌড় দেখতে চাই। অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে সাঁতারেও কিংবদন্তিদের দিকে নজর থাকবে।’
No comments:
Post a Comment