অসমিয়া শব্দ ‘গুয়াহাটি’–র বাংলা তর্জমা করলে দঁাড়ায় সুপারির বাজার। শনিবার সেই গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ফেড ফাইনাল যুদ্ধে মোহনবাগান ধ্বংসে আইজল তা হলে সুপারি কিলার লাগাল নাকি?
তা জানা নেই। তবে ‘ফিট’ করেও কতটা কী করতে পারবে তাতে ঘোর সন্দেহ রয়েছে। কেন? বাগান শেষবার ২০০৮–এ ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। দীর্ঘ ৮ বছরের খরা কাটিয়ে ফেড কাপ জিততে সনি, জেজে, দেবজিৎরা যেন একেকটা ক্ষুধার্ত বাঘের মতো, সঙ্গে খোঁচা খাওয়াও বটে।
কেন? সারা মরশুম ধরে ট্রফি–খরা। খাতায়–কলমে সেরা দল হয়েও ট্রফির খিদের তাড়নায় ক্ষুধার্ত। আর হাতের সামনে দিয়ে আই লিগ ফসকে যাওয়ায়, এই আইজলের কাছেই পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বিপর্যয়ের শুরু। ফেড কাপের শেষ লড়াইয়ে সামনে সেই আইজল। তাতে বাগান ফুটবলাররা খোঁচাটা আপনা হতেই খেয়ে রয়েছেন।
বাদ যাচ্ছেন না কোচ সঞ্জয় সেনও। আইজলে যাওয়ার ‘গেটওয়ে’ গুয়াহটি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিপক্ষ দলের দিকে সমর্থকদের পাল্লা ঝুঁকে থাকবে। ও–সব বুঝেশুনেই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ মেজাজে সঞ্জয় এদিন বিকেলে সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে অতীত মনে করিয়ে বলেন, ‘আমরা যে–কোনও পরিস্থিতিতে খেলতে তৈরি। গত বছর অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। কালকের ম্যাচও জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব।’
যুদ্ধক্ষেত্রে নামার আগে বাগান শিবির যেন ‘ফ্ল্যাশব্যাকে’ বারবার ফিরে যাচ্ছিল ২০১০ সালে। ফেড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। অতীতের পুনরাবৃত্তি আর নয়। তাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এককাট্টা লড়াই দেওয়ার মানসিকতায় সবুজ–মেরুন সৈনিকরা ব্রহ্মপুত্রের তীরের শহরে দঁাড়িয়ে তেতে রয়েছেন। মনের ভেতর জেদের বীজটা যে যার মতো করে সযত্নে রেখে দিয়েছেন। তবে শুক্রবার সকালে পাহাড়–ঘেরা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ছবিটা কিন্তু তা মালুম হতে দিচ্ছে না। প্র্যাকটিসের ফাঁকে ফাঁকে নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে মেতে উঠছেন সর্বদা গম্ভীরমুখো গ্লেন থেকে রাজু গায়কোয়াড়রা। ফাইনালের চাপ কাটাতে বাগানে বইছে ফুরফুরে হাওয়া। এরই মধ্যে সহ–সচিব সৃঞ্জয় বসুর ভোকাল টনিকও বাদ ছিল না। শুক্রবারের ভোরের উড়ানে চেপে সটান মাঠে হাজির সৃঞ্জয়। পুত্র তাতাইও এসেছে। গতবার আই লিগে বেঙ্গালুরুর মাঠে দু’জনেই হাজির ছিলেন। দেরি না করে প্র্যাকটিসের পর কোচের সঙ্গে করমর্দন সেরে নিয়ে সহ–সচিব হাঁটা লাগালেন টিম মিটিংয়ের দিকে। ফুটবলারদের উদ্দেশে সৃঞ্জয় বলেন, ‘সারা বছর ধরে শুনে আসছি আমরা সেরা দল। সব টুর্নামেন্টেই ফেবারিট। কিন্তু সেটা প্রমাণ করার শেষ সুযোগ তোমাদের কাছে।’ সঙ্গে আই লিগে আইজলের পাহাড়ে হোঁচট খাওয়ার প্রসঙ্গটাও মনে করিয়ে দেন। এ–সব দেখেশুনে তো বাগানের ম্যানেজার কাম ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চ্যাটার্জি আবার সারা মাঠ দৌড়ে দশ পাক দিয়ে ‘জগিং’, ‘মর্নিং ওয়াক’টা সেরা নিলেন, সঙ্গী সঞ্জয়–তনয় সোহন। গতবার পরীক্ষা থাকায় বেঙ্গালুরুতে থাকা সম্ভব হয়নি। এবার বোধহয় বাবার হাতেই কাপ উঠবে, এরকম আগাম আন্দাজ করে সেই স্মরণীয় মুহূর্তের স্বাদ নিতে উড়ে এসেছে বছর আঠারোর সোহন। দৌড় থামিয়ে আমতা আমতা করে বলে, ‘আশা করি মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হবে। দেখা যাক কী হয়।’
পুত্র সোহনের মতো আত্মবিশ্বাসী শোনাল ‘বাবা’ সঞ্জয়ের গলাও, ‘৮ বছর ধরে সমর্থকরা ফেড কাপের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে। সুবর্ণ সুযোগ আমাদের কাছে। কোনওভাবে তা হাতছাড়া করতে নারাজ। সব ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চাই।’ দলে কোনও চোট–আঘাত নেই। গোড়ালিতে বরফ বেঁধে প্র্যাকটিসের পর দেবজিৎ মজুমদার স্টেডিয়াম ছাড়লেও ‘ফিট দেবজিৎ’ সার্টিফিকেট সাংবাদিক সম্মলনে দিয়ে দিয়েছেন কোচ সঞ্জয়। সেই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে সমীহের সুরে বাগান কোচ বলেন, ‘যে দল বেঙ্গালুরুকে ২ বার হারায়, গোয়ার মাটিতে দু’গোল (স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে) দেয়, তাদের তো সমীহ করতেই হয়।’
এদিন গুয়াহাটিতে মেঘ–রোদ্দুরের লুকোচুরির মাঝেই তিনি ‘সিরিয়াস’। দলের প্র্যাকটিস শেষ হয়ে গেলেও মাঠের সাইডলাইনে নিজে নিজেই ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেন। তিনি মানে, নিজেদের ‘পয়া’ টুর্নামেন্টে তেরোর গেরো কাটিয়ে ১৪ বারের ফেড ট্রফি কলকাতায় নিয়ে ফিরতে সেই সোনালি চুলের সনি নর্ডির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আপামর বাগান সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই সবুজ তোতার সঙ্গে সনির তুলনা টানার হাওয়া বওয়া শুরু হয়ে গেছে। শনিবারের ম্যাচে গোল করে হাইতির ‘কোহিনুর’ কি সেই ২০০৮–এর সবুজ তোতা হয়ে ডানা মেলে উড়তে পারবেন সমর্থকদের হৃদয়ের নন্দনকাননে? সকলেরই মনে আছে, সেবার ফাইনালে ডেম্পোর বিরদ্ধে একমাত্র গোল করেছিলেন ব্যারেটো। ও–সবের মধ্যে না ঢুকে সনি স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বাসে ওঠার আগে শুধু বলে যান, ‘গতবার আই লিগ ট্রফি জিতে হাইতি ফিরেছিলাম। এবার খালি হাতে ফিরলে দেশের সতীর্থরা যে ছিঃ ছিঃ করবে। তাই অন্তত ফেড কাপ জিতে ফিরতে চাই।’
গত দু’ম্যাচে জয় না এলেও আগুনে মেজাজে রয়েছে সঞ্জয়–শঙ্করলাল ব্রিগেড। কী সনি, কী জেজে। সঞ্জয় বলছেন, ‘ফুটবলে একটা টিম সব ম্যাচ জিতবে তা কখনওই হয় না। বার্সিলোনাও তো হারে।’ এরই মাঝে ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহন সারথির কথায়, ‘ফাইনালে আমাদের ফেবারিট ধরলে বোকামি হবে।’
সঞ্জয় যা–ই বলুন না কেন, কেরিয়ারে সেরা ফর্মে থাকা জেজে শপথটা নিয়েছেন অন্যভাবে, ‘চোট পাওয়া আমাদের টিম মেট বলবন্ত, প্রবীর, ব্রেন্ডনকে এই ট্রফি জিতে উৎসর্গ করতে চাই।’
সঞ্জয়কে সামনে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বোমাটা ফাটিয়ে আইজল কোচ জহর দাস বলেন, ‘মোহনবাগান তো আই লিগ জেতেনি। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরুকে আমরা যদি দু’বার হারাতে পারি, তাহলে মোহনবাগান নয় কেন?’
তাহলে বাগানকে হারাতে জহর ‘সুপারি কিলার’ ফিট করেছেন কি না জানা নেই। সেরকম কোনও বিপদের গন্ধেই কি তাহলে এদিন বাগান টিম বাসের সঙ্গে ছিল পুলিস এসকর্ট? উত্তর মিলবে আর কয়েক ঘণ্টায়।
অসমিয়া শব্দ ‘গুয়াহাটি’–র বাংলা তর্জমা করলে দঁাড়ায় সুপারির বাজার। শনিবার সেই গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ফেড ফাইনাল যুদ্ধে মোহনবাগান ধ্বংসে আইজল তা হলে সুপারি কিলার লাগাল নাকি?
তা জানা নেই। তবে ‘ফিট’ করেও কতটা কী করতে পারবে তাতে ঘোর সন্দেহ রয়েছে। কেন? বাগান শেষবার ২০০৮–এ ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। দীর্ঘ ৮ বছরের খরা কাটিয়ে ফেড কাপ জিততে সনি, জেজে, দেবজিৎরা যেন একেকটা ক্ষুধার্ত বাঘের মতো, সঙ্গে খোঁচা খাওয়াও বটে।
কেন? সারা মরশুম ধরে ট্রফি–খরা। খাতায়–কলমে সেরা দল হয়েও ট্রফির খিদের তাড়নায় ক্ষুধার্ত। আর হাতের সামনে দিয়ে আই লিগ ফসকে যাওয়ায়, এই আইজলের কাছেই পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বিপর্যয়ের শুরু। ফেড কাপের শেষ লড়াইয়ে সামনে সেই আইজল। তাতে বাগান ফুটবলাররা খোঁচাটা আপনা হতেই খেয়ে রয়েছেন।তা জানা নেই। তবে ‘ফিট’ করেও কতটা কী করতে পারবে তাতে ঘোর সন্দেহ রয়েছে। কেন? বাগান শেষবার ২০০৮–এ ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। দীর্ঘ ৮ বছরের খরা কাটিয়ে ফেড কাপ জিততে সনি, জেজে, দেবজিৎরা যেন একেকটা ক্ষুধার্ত বাঘের মতো, সঙ্গে খোঁচা খাওয়াও বটে।
বাদ যাচ্ছেন না কোচ সঞ্জয় সেনও। আইজলে যাওয়ার ‘গেটওয়ে’ গুয়াহটি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিপক্ষ দলের দিকে সমর্থকদের পাল্লা ঝুঁকে থাকবে। ও–সব বুঝেশুনেই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ মেজাজে সঞ্জয় এদিন বিকেলে সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে অতীত মনে করিয়ে বলেন, ‘আমরা যে–কোনও পরিস্থিতিতে খেলতে তৈরি। গত বছর অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। কালকের ম্যাচও জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব।’
যুদ্ধক্ষেত্রে নামার আগে বাগান শিবির যেন ‘ফ্ল্যাশব্যাকে’ বারবার ফিরে যাচ্ছিল ২০১০ সালে। ফেড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। অতীতের পুনরাবৃত্তি আর নয়। তাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এককাট্টা লড়াই দেওয়ার মানসিকতায় সবুজ–মেরুন সৈনিকরা ব্রহ্মপুত্রের তীরের শহরে দঁাড়িয়ে তেতে রয়েছেন। মনের ভেতর জেদের বীজটা যে যার মতো করে সযত্নে রেখে দিয়েছেন। তবে শুক্রবার সকালে পাহাড়–ঘেরা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ছবিটা কিন্তু তা মালুম হতে দিচ্ছে না। প্র্যাকটিসের ফাঁকে ফাঁকে নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে মেতে উঠছেন সর্বদা গম্ভীরমুখো গ্লেন থেকে রাজু গায়কোয়াড়রা। ফাইনালের চাপ কাটাতে বাগানে বইছে ফুরফুরে হাওয়া। এরই মধ্যে সহ–সচিব সৃঞ্জয় বসুর ভোকাল টনিকও বাদ ছিল না। শুক্রবারের ভোরের উড়ানে চেপে সটান মাঠে হাজির সৃঞ্জয়। পুত্র তাতাইও এসেছে। গতবার আই লিগে বেঙ্গালুরুর মাঠে দু’জনেই হাজির ছিলেন। দেরি না করে প্র্যাকটিসের পর কোচের সঙ্গে করমর্দন সেরে নিয়ে সহ–সচিব হাঁটা লাগালেন টিম মিটিংয়ের দিকে। ফুটবলারদের উদ্দেশে সৃঞ্জয় বলেন, ‘সারা বছর ধরে শুনে আসছি আমরা সেরা দল। সব টুর্নামেন্টেই ফেবারিট। কিন্তু সেটা প্রমাণ করার শেষ সুযোগ তোমাদের কাছে।’ সঙ্গে আই লিগে আইজলের পাহাড়ে হোঁচট খাওয়ার প্রসঙ্গটাও মনে করিয়ে দেন। এ–সব দেখেশুনে তো বাগানের ম্যানেজার কাম ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চ্যাটার্জি আবার সারা মাঠ দৌড়ে দশ পাক দিয়ে ‘জগিং’, ‘মর্নিং ওয়াক’টা সেরা নিলেন, সঙ্গী সঞ্জয়–তনয় সোহন। গতবার পরীক্ষা থাকায় বেঙ্গালুরুতে থাকা সম্ভব হয়নি। এবার বোধহয় বাবার হাতেই কাপ উঠবে, এরকম আগাম আন্দাজ করে সেই স্মরণীয় মুহূর্তের স্বাদ নিতে উড়ে এসেছে বছর আঠারোর সোহন। দৌড় থামিয়ে আমতা আমতা করে বলে, ‘আশা করি মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হবে। দেখা যাক কী হয়।’
পুত্র সোহনের মতো আত্মবিশ্বাসী শোনাল ‘বাবা’ সঞ্জয়ের গলাও, ‘৮ বছর ধরে সমর্থকরা ফেড কাপের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে। সুবর্ণ সুযোগ আমাদের কাছে। কোনওভাবে তা হাতছাড়া করতে নারাজ। সব ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চাই।’ দলে কোনও চোট–আঘাত নেই। গোড়ালিতে বরফ বেঁধে প্র্যাকটিসের পর দেবজিৎ মজুমদার স্টেডিয়াম ছাড়লেও ‘ফিট দেবজিৎ’ সার্টিফিকেট সাংবাদিক সম্মলনে দিয়ে দিয়েছেন কোচ সঞ্জয়। সেই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে সমীহের সুরে বাগান কোচ বলেন, ‘যে দল বেঙ্গালুরুকে ২ বার হারায়, গোয়ার মাটিতে দু’গোল (স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে) দেয়, তাদের তো সমীহ করতেই হয়।’
এদিন গুয়াহাটিতে মেঘ–রোদ্দুরের লুকোচুরির মাঝেই তিনি ‘সিরিয়াস’। দলের প্র্যাকটিস শেষ হয়ে গেলেও মাঠের সাইডলাইনে নিজে নিজেই ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেন। তিনি মানে, নিজেদের ‘পয়া’ টুর্নামেন্টে তেরোর গেরো কাটিয়ে ১৪ বারের ফেড ট্রফি কলকাতায় নিয়ে ফিরতে সেই সোনালি চুলের সনি নর্ডির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আপামর বাগান সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই সবুজ তোতার সঙ্গে সনির তুলনা টানার হাওয়া বওয়া শুরু হয়ে গেছে। শনিবারের ম্যাচে গোল করে হাইতির ‘কোহিনুর’ কি সেই ২০০৮–এর সবুজ তোতা হয়ে ডানা মেলে উড়তে পারবেন সমর্থকদের হৃদয়ের নন্দনকাননে? সকলেরই মনে আছে, সেবার ফাইনালে ডেম্পোর বিরদ্ধে একমাত্র গোল করেছিলেন ব্যারেটো। ও–সবের মধ্যে না ঢুকে সনি স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বাসে ওঠার আগে শুধু বলে যান, ‘গতবার আই লিগ ট্রফি জিতে হাইতি ফিরেছিলাম। এবার খালি হাতে ফিরলে দেশের সতীর্থরা যে ছিঃ ছিঃ করবে। তাই অন্তত ফেড কাপ জিতে ফিরতে চাই।’
গত দু’ম্যাচে জয় না এলেও আগুনে মেজাজে রয়েছে সঞ্জয়–শঙ্করলাল ব্রিগেড। কী সনি, কী জেজে। সঞ্জয় বলছেন, ‘ফুটবলে একটা টিম সব ম্যাচ জিতবে তা কখনওই হয় না। বার্সিলোনাও তো হারে।’ এরই মাঝে ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহন সারথির কথায়, ‘ফাইনালে আমাদের ফেবারিট ধরলে বোকামি হবে।’
সঞ্জয় যা–ই বলুন না কেন, কেরিয়ারে সেরা ফর্মে থাকা জেজে শপথটা নিয়েছেন অন্যভাবে, ‘চোট পাওয়া আমাদের টিম মেট বলবন্ত, প্রবীর, ব্রেন্ডনকে এই ট্রফি জিতে উৎসর্গ করতে চাই।’
সঞ্জয়কে সামনে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বোমাটা ফাটিয়ে আইজল কোচ জহর দাস বলেন, ‘মোহনবাগান তো আই লিগ জেতেনি। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরুকে আমরা যদি দু’বার হারাতে পারি, তাহলে মোহনবাগান নয় কেন?’
তাহলে বাগানকে হারাতে জহর ‘সুপারি কিলার’ ফিট করেছেন কি না জানা নেই। সেরকম কোনও বিপদের গন্ধেই কি তাহলে এদিন বাগান টিম বাসের সঙ্গে ছিল পুলিস এসকর্ট? উত্তর মিলবে আর কয়েক ঘণ্টায়।
No comments:
Post a Comment