আর্মান্দো কোলাসোর কোচিংয়ে ডেম্পোয় খেলার সময় রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই সময় কাটত। দিনের পর দিন প্রথম একাদশে সুযোগ না পেয়ে দমবন্ধ হয়ে উঠেছিল তঁার। সেখান থেকে বছর দুই আগে মোহনবাগানে চলে আসেন। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রূপকথার মতো বদলে গেছে জীবন। সেই জেজে লাখপেখলুয়া বাগান সমর্থকদের কাছে এখন রীতিমতো বীরের সম্মান পাচ্ছেন। ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করে দলকে জেতাচ্ছেন। কেরিয়ারের সোনার সময় চলছে মিজো স্ট্রাইকারের। তঁার দল মোহনবাগানের অল্পের জন্য আই লিগ হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু ফেড কাপে দুরন্ত ফর্মে গোটা দল।
শিলংকে ৫–০ উড়িয়ে ফেড কাপের ফাইনালের রাস্তা কার্যত মসৃণ করা হয়ে গেছে। রহস্যটা কী? জেজের কথায়, ‘আমাদের টিমে কোনও ইগো সমস্যা নেই। সনি, গ্লেন, কাৎসুমিরা নিজেরা গোল করবে এরকম ব্যাপার নেই। একে অপরকে গোলের পাস বাড়াতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না।’ সঙ্গে জুড়লেন, ‘নিজের গোলের থেকেও দলের জয় আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ শিলং ম্যাচের পর যতই স্টিফেন কনস্টানটাইন থেকে সঞ্জয় সেনের নামে জেজের মুখে জয়গান শোনা যাক না কেন, তিনি মনে করেন আই এস এলেই তঁার জীবন বদলে গেছে। জেজের কথায়, ‘আই এস এলের জন্যই আজ আমি এই জায়গায়। আই এস এল থেকে অনেক কিছু শিখেছি। উন্নতমানের ট্রেনিং করার সুযোগ পেয়েছি।’ ৩১ মে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে। তারপরই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবেন। ঠিক করেছেন, আই এস এল খেলে তারপর কোনও আই লিগের ক্লাবে খেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন চেলসি–ভক্ত ফুটবলারটি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ও বেঙ্গালুরু এফ সি তঁাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। জেজে যা ফর্মে রয়েছেন, আই এস এলের পর তঁাকে সবুজ–মেরুন জার্সি পরাতে বাগান কর্তাদের যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে, তা বলাই যায়।
No comments:
Post a Comment