আজকালের প্রতিবেদন: আই লিগের অন্যান্য ক্লাবের সামনে বেঙ্গালুরু এফ সি–কে নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরলেন স্টিফেন কনস্টানটাইন। কেন? অন্য ক্লাবদের বি এফ সি–র মতো ক্রীড়া বিজ্ঞান অনুসরণ করে চলার পরামর্শ দেন ভারতীয় কোচ। বলেন, ‘বেঙ্গালুরু ক্রীড়া বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভাল উদাহরণ।
ওই ক্লাবের ছেলেরা নিয়মিত জিমে অতিরিক্ত সময় কাটায়। বেঙ্গালুরুতে ক্রীড়া বিজ্ঞানসম্মত কোচ রয়েছে। ফলে শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা এগিয়ে থাকে।’ বেঙ্গালুরু বাদে ভারতের কোনও ক্লাবই খেলাধুলো সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যায় না। তাদের উদ্দেশে স্টিফেনের পরামর্শ, ‘বিজ্ঞানসম্মত ক্রিয়াকালাপের মধ্য দিয়ে না গেলে ক্লাবের কোচেদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। সঙ্গে প্লেয়ারদেরও। জাতীয় শিবিরের তুলনায় ক্লাব ফুটবলে প্লেয়ারদের চোট লাগার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, জাতীয় ক্যাম্পে তারা উচ্চমানের ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু ক্লাবে ফিরলে সেই লেভেল পড়ে যায়।’ স্টিফেন সংযোজন করেন, ‘ক্লাবগুলো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভারতীয় ফুটবল উপকৃত হবে।’গুয়াহাটিতে চলা ক্যাম্পে আরও কিছু নতুন মুখ দেখে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্টিফেনের। ২৬ জন দলে থাকলেও মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু–র ফুটবলার মিলিয়ে ১১ জন এখনও যোগ দেননি। এ এফ সি খেলে ২৫ তারিখ বাগানের প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার ও জেজে যোগ দেবেন। সুনীল ছেত্রি–সহ বেঙ্গালুরুর ৭ জন শিবিরে আসবেন ২৮ তারিখ। কিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু সরাসরি লাওসে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ২৩ জনের স্কোয়াড নিয়ে দিল্লি থেকে ৩০ তারিখ সকালের বিমানে লাওসের উদ্দেশে রওনা হবে ভারতীয় দল। সেখানে লাওসের বিরুদ্ধে ২০১৯ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী অ্যাওয়ে ম্যাচে সুনীলরা খেলবেন ২ জুন।
No comments:
Post a Comment