Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Friday, April 29, 2016

ওষুধ নয়, অস্ত্রোপচার দরকার, আবার কড়া সুপ্রিম কোর্ট


কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার তারা নতুন করে হাত দিল বোর্ড কর্তাদের সর্বোচ্চ বয়স সীমার দিকে। একেবারে জগমোহন ডালমিয়ার উদাহরণ তুলে ধরল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বি সি সি আই–‌এর উদ্দেশে দেশের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের বেঞ্চ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, ‘‌কেন বোর্ডের কর্তারা ৭০ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন?‌
৬০ বছর বয়স হলেই সরে যাওয়া উচিত। একটা সময়ে বোর্ড কর্তাদের নিজেদেরই বলা উচিত, অনেক হয়েছে, এবার সরে যাই। বি সি সি আই–‌এর প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া তো শেষদিকে কাজই করতে পারেননি। যাঁরা তাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন, তাঁরা কি সেটা দেখতে পাননি?‌ বি সি সি আই সভাপতির মেয়াদ তো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের থেকেও পাঁচ বছর বেশি। এখন তো রাজনৈতিক নেতারাও ৭০ বছর বয়স হলে সরে যান। বোর্ড কর্তারা কেন সরবেন না?‌ ৭০ বছরের বেশি বয়সের কর্তাদের অভিজ্ঞতা যদি কাজে লাগাতেই হয়, তবে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হোক। বি সি সি আই–‌এর সভাপতি কাজ করতে পারছেন না, এটা মেনে নেওয়া যায়?‌ একজন ক্রিকেট প্রশাসককে তো শারীরিক ভাবে সক্ষম হতে হবে।’‌ এর পর সুপ্রিম কোর্ট যা বলে, তাতে মোটামুটি নিশ্চিত, লোধা কমিটির সুপারিশ বোর্ডকে মানতেই হবে। সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে রোগটা এত গভীরে চলে গেছে যে, ওষুধে আর কাজ হবে না। অস্ত্রোপচার দরকার। আর সেটা করার জন্যই যথাযোগ্য একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে।’‌ শুক্রবার ওড়িশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নিজেদের বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল। অধিকাংশ ক্রিকেট সংস্থার মতো তারাও লোধা কমিটির ‘‌এক রাজ্য এক ভোট’‌ নীতির বিরোধিতা করে বলে, ‘‌ভৌগোলিক সীমার ভিত্তিতে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিভাজন ঠিক নয়। উত্তর–‌পূর্বের রাজ্যগুলোকে যদি পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেওয়া হয়, এবং শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে খেলতে দেওয়া হয়, তবে ক্রিকেটের মান পড়ে যাবে।’‌ সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা প্রশ্ন তোলে, ‘‌বোর্ডের সমস্যাটা কোথায়?‌ দুর্বল দলগুলো হেরে যাবে?‌ আফগানিস্তান বিশ্বকাপে খেলছে না?‌ বাংলাদেশ দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়নি?‌’‌ বোর্ডের আর্থিক বণ্টনের নীতির আরও একবার সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, ‘‌সদস্য সংখ্যা যত বাড়বে, তত প্রতিটি সংস্থার প্রাপ্য টাকা কমবে। এই কারণেই আপনারা ছোট রাজ্যগুলোকে পূর্ণ সদস্য করছেন না।’‌ পরবর্তী শুনানি সোমবার।‌‌‌‌‌

No comments:

Post a Comment