Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Friday, April 29, 2016

সম্ভবত প্রথম দু ‌ম্যাচে নেই নর্ডি


এ এফ সি কাপের নক আউট পর্বে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল মোহনবাগান। মালদ্বীপের মেজিয়ার সঙ্গে ১–১ ড্র করে গ্রুপ শীর্ষে থাকার যোগ্যতার্জন করে নিয়েছে সঞ্জয় সেনের ফুটবলাররা। এতে ঘরের মাঠে প্রি–‌কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবেন তাঁরা। এটা যেমন স্বস্তি দিচ্ছে কোচ সঞ্জয়কে, তেমন এখন ফেডারেশন কাপে পুরোপুরি ফোকাস ঘোরাতে পারছেন।
মালে থেকে দীর্ঘ বিমানযাত্রার পর ক্লান্ত অবসন্ন শরীরে কলকাতায় পৌঁছে বাগান কোচ বলেই দিলেন, ‘আমরা একটা একটা করে লক্ষ্যপূরণের দিকে এগোচ্ছি। এ এফ সি কাপে নক আউটে ঘরের মাঠে খেলার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে ফুটবলাররা। নতুন ফরম্যাটে ফেডারেশন কাপ হচ্ছে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। এক দিকে এটা ভাল। সব দলের কাছেই দু’‌বার করে সুযোগ থাকছে। এক ম্যাচে খারাপ খেললে ফিরতি ম্যাচে রিকভার করার।’ শুক্রবার কলকাতায় ফিরেই শনিবার সকালে গোয়া উড়ে যাচ্ছেন বাগান ফুটবলাররা ফেডারেশন কাপের প্রথম রাউন্ডে সালগাঁওকারের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে। দলের সঙ্গে যাবেন না সনি নর্ডি চোট থাকায়। মালদ্বীপে মেজিয়া ম্যাচের আগে গা ঘামানোর সময় বাঁ হাঁটুর পুরনো জায়গায় আবার ব্যথা অনুভব করেন নর্ডি। কোচ সঞ্জয়কে বললে তিনি আর মাঠে নামানোর ঝুঁকি নেননি। এদিন কলকাতায় নেমে নর্ডি জানান, হাঁটুর ব্যথা বেশ বেড়েছে। ফোলাটাও। তাই হাসপাতালে এম আর আই করিয়ে দেখবেন, কেন চোটটা বারবার ভোগাচ্ছে। বেশ মুষড়ে পড়েছেন খেলতে পারছেন না বলে। বিশেষ করে ফেডারেশন কাপে তাঁর খেলার ইচ্ছে প্রবল। মনেপ্রাণে চান ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ক্লাবকে একটা ট্রফি দিতে। বাগান কোচ সঞ্জয় এদিন সাফ জানান, ‘সনির চোট কতটা গুরুতর সেটা বোঝা যাবে এম আর আই রিপোর্ট পেলে। তবে আপাতত যা অবস্থা ওর চোটের তাতে ২ মে সালগাঁওকার ম্যাচে খেলার জন্য ওকে নিয়ে যাচ্ছি না। পরে ভাবব, কতটা ফিট জেনে।’ ঘন ঘন ম্যাচ খেলার ক্লান্তি, যাতায়াতের ধকল কি দলের পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলতে পারে? সঞ্জয়ের জবাব, ‘হতেই পারে। মালদ্বীপে প্রচণ্ড গরমে খেলতে হয়েছে। যাতায়াতের ধকলটাও ছিল বিরাট। একদিনের মধ্যে গোয়ায় গিয়ে খেলতে হবে। এটা মাথায় রেখেই এগোতে হবে অঙ্ক কষে। সালগাঁওকারের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে ফিরতে পারলে খুব ভাল। সেই চেষ্টাই করব। চাপমুক্ত হয়ে ঘরে খেলার সুযোগ মিলবে। না জিতলেও হারা চলবে না। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে ম্যাচ বের করার সুযোগ থাকবে।’ সালগাঁওকারের কোচ সন্তোষ কাশ্যপ সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। এখন নতুন কোচের আন্ডারে খেলবে সালগাঁওকার। এটা কীভাবে দেখছেন? সঞ্জয়ের মতে, ‘এই পরিস্থিতিটা সবসময়ই বিপজ্জনক। নতুন কোচের আন্ডারে ফুটবলাররা বাড়তি নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় রেজাল্ট উল্টোপাল্টা হয়ে যায় তাতে। তাই সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। রিল্যাক্স করার জায়গা নেই।’ তবে বাগানের স্বস্তি, সালগাঁওকার ম্যাচে ডিফেন্সে থাকছেন লুসিয়ানো। তিনি কার্ড সমস্যায় এ এফ সি কাপের ম্যাচে ছিলেন না। গ্লেনের চোটও সামান্য। তাঁকেও পুরো ফিট অবস্থায় সালগাঁওকার ম্যাচে পাওয়া যাবে। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল। এবার একবারও ডার্বিতে জেতেনি বাগান। তার ওপর ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মর্গানের সঙ্গে এবার লড়াই হবে ফেড কাপের সেমিফাইনালে দেখা হলে। কী বলবেন এ নিয়ে? সঞ্জয়ের ঝাঁঝালো প্রতিক্রিয়া, ‘আগে সেমিফাইনালে উঠুক দল। তার পর ডার্বির পরিস্থিতি আগে তৈরি হোক। তখন তো এ–‌সব নিয়ে ভাবব। আর ওরকম মর্গান–‌টর্গান অনেক দেখা আছে। মর্গান নিয়ে কোনও ভাবনা নেই।’ কোচ সঞ্জয়ের আত্মবিশ্বাসী মেজাজটাই এখন ফেডারেশন কাপে বাগান ফুটবলারদের মস্ত ভরসা।‌
Source - Aajkal

No comments:

Post a Comment