একটা নেট পুরোপুরি তাঁর জন্য বরাদ্দ। সেখানে টানা ৪৫ মিনিট ধরে বল করে গেলেন সুনীল নারিন।
আঙুলে চোট পাওয়ায় শেষ দুই ম্যাচে দলের বাইরে তিনি। টানা হাফ ডজন অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে কেকেআর নিজেদের শহরে ফিরে আসার পর আর মাঠে নামতে পারেননি নারিন। বুধবার তাই তাঁর নেটে টানা এতক্ষণ বল করাটা নাইট সমর্থকদের কাছে ভাল খবর হয়ে উঠতেই পারে।
দলের অন্যরা যখন গা ঘামাতে ব্যস্ত, তখন বায়োমেকানিক্স বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো-কে সঙ্গে নিয়ে সমানে একটা নেটে বোলিং করে গেলেন নাইটদের বোলিং-নিউক্লিয়াস।
তিনি একটা করে বল করছিলেন আর ক্রো তাঁর মোবাইলে তার ছবি তুলে রাখছিলেন। শোনা গেল, তাঁর মোবাইলেই নাকি একটা ‘অ্যাপ’ ডাউনলোড করা রয়েছে, যেখানে কোনও বোলার বা ব্যাটসম্যানের অ্যাকশনের ভিডিও বিশ্লেষণ করা যায়। তা দিয়েই তাঁর প্রতি বলের অ্যাকশন বিশ্লেষণ করে নারিনকে দেখাচ্ছিলেন কার্ল। প্র্যাকটিসের পর বললেন, ‘‘নারিনের আঙুল আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল। দ্রুত উন্নতি করছে। পরের ম্যাচের আগে তো এখনও সময় আছে। দেখা যাক, তার আগেই যদি ও পুরোপুরি ফিট হয়ে যায়, ভাল।’’
নারিনের চোটের কী অবস্থা, সেটা দেখা অবশ্য কার্ল ক্রো-র কাজ নয়। তাঁর কাজ রহস্য বোলারের বোলিং অ্যাকশনে ফের কোনও গড়মিল হচ্ছে কি না, তা কড়া নজরে রাখা। তাই এ দিন সমানে প্রতিটি ডেলিভারির ভিডিও তুলে তা নিজে যেমন পরীক্ষা করছিলেন, তেমন নারিনকেও দেখাচ্ছিলেন। কেকেআর শিবিরে অবশ্য খবর, শনিবার পুণের বিরুদ্ধে নারিনকে খেলানোর খুব চেষ্টা হচ্ছে। সে জন্যই বোধহয় নেটে এতটা পরিশ্রম করতে দেখা গেল তাঁকে।
প্র্যাকটিসে গম্ভীর।
নাইটরা যখন ব্যস্ত ছিলেন প্র্যাকটিসে, তখন সুপারজায়ান্টরা পুরোপুরি বিশ্রামে। এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ শহরে নেমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তাঁর দল নিয়ে সেই যে হোটেলে ঢুকে পড়েন, তার পর আর তাঁর দলের কাউকে নাকি হোটেলের বাইরে বেরতে দেখা যায়নি। আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়ে বিধ্বস্ত ও ক্লান্ত পুণে দলের ক্রিকেটাররা, শোনা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও প্র্যাকটিসে নামবেন না বলে ঠিক করেছেন। একেবারে শুক্রবার ম্যাচের আগের দিনই মাঠে নেমে গা ঘামিয়ে নেবেন ধোনিরা। মাঠে না নামলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে অবশ্য শহরের এক শপিং মলে স্পনসরদের এক প্রচার অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দলের কয়েকজন ক্রিকেটার।
ও দিকে আবার আর এক চমক। এ দিন কেকেআর ড্রেসিংরুমে হঠাৎ দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার ৩৩ বছর বয়সি পেস বোলার শন টেটকে। গম্ভীরদের ড্রেসিংরুমে তিনি কেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চোট পেয়ে দেশে ফিরে যাওয়া জন হেস্টিংসের জায়গায় টেটকে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবারই কলকাতায় এসে পৌঁছন তিনি। তাই এ দিন দলের সঙ্গে আর প্র্যাকটিস করেননি। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলে ন’টা ম্যাচে দশটি উইকেট নেন তিনি। টেটের সেই পারফরম্যান্সের জন্যই নাকি টিম ম্যানেজমেন্ট হেস্টিংসের বদলে তাঁকে চেয়েছিল।
পিএসএলে যিনি ছিলেন টেটের সতীর্থ সেই আন্দ্রে রাসেল অবশ্য এ দিন প্র্যাকটিস করলেন না। হোটেলে বিশ্রামই নেন তিনি। সকালে আবার স্পনসরদের এক অনুষ্ঠানে শহর থেকে দূরে কল্যাণীতে গিয়েছিলেন পীযূষ চাওলা, ব্র্যাড হগ, ক্রিস লিনরা। সেখান থেকে ফিরে প্র্যাকটিসে নামেন।
No comments:
Post a Comment