আজকালের প্রতিবেদন: বড় তারকার ভিড় হয়ত সে অর্থে নেই। কিন্তু যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই কাজের কাজটা করছিলেন যথার্থভাবেই। ‘দল’ হয়ে ওঠা বলতে যা বোঝায়, ঠিক সেটাই হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্ষেত্রে, এবারের আই পি এলে। ব্যাটিং–বোলিং, একটা ভারসাম্য ছিল দলে। কিন্তু ভাল খেলতে খেলতেই ছন্দপতন। বুধ–রাতে কে কে আরের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আবার একটা বছরের প্রতীক্ষা। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে টার্গেট কি খুব কঠিন ছিল? ব্যাটিং–ব্যর্থতায় লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি নাইটরা। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আবার মনে করছেন, আন্দ্রে রাসেল থাকলে দল নিশ্চিতভাবেই জয় ছিনিয়ে নিতে পারত, পৌঁছে যেত ফাইনালের একধাপ আগে। আর তা ছাড়া উথাপ্পা ফিরে যাওয়ার পর গম্ভীর–মুনরো জুটি যখন ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে বসছিল কোটলার উইকেটে, তখনই ধাক্কা এসেছে মুনরোর রান আউটে। গম্ভীর বলেছেন, ওই আউটটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর পর নাইটদের ব্যাটিং একেবারেই ক্লিক করেনি। নাইটদের বাঁ–হাতি চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব যদিও তাঁর অধিনায়কের সঙ্গে একমত নন। তাঁর মতে, ইউসুফ পাঠান আউট হওয়ার পরই নাইটরা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। কুলদীপ বললেন, ‘আমাদের সামনে যে টার্গেট (১৬৩) ছিল, অবশ্যই সেটায় পৌঁছনো সম্ভব। টার্গেটটা খুব বিরাট তো ছিল না। টিমের উচিত ছিল লক্ষ্যে পৌঁছনো। কিন্তু ইউসুফ ভাইয়ের আউটটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছি আমরা।’ নক আউট ম্যাচে রান তাড়া করার সময় ব্যাটিংয়ে যে শৃঙ্খলা দেখানো উচিত ছিল, তার অভাবেই এবার আই পি এল থেকে ছিটকে যেতে হল, স্বীকার করে নিয়েছে নাইট ম্যানেজমেন্ট। শেষ দুটি ম্যাচে দারুণ বল করেছেন কুলদীপ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছেন তরুণ এই বোলার। সুনীল গাভাসকার তো বলেই দিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচকরা ওর ওপর নজর রাখুন। বুধবার দল হেরে গেছে, আই পি এল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ। কিন্তু তাঁর বোলিং প্রশংসিত হয়েছে শুনে সেই মন খারাপের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়েছে। জানালেন, নিজের পারফরমেন্সে তিনি খুশি। কুলদীপের কথায়, ‘আমার কাজ ছিল মিডল ওভারে উইকেট নেওয়া। আমি খুশি টিমের জন্য সেটা করতে পারায়। তবে হ্যাঁ, যুবরাজের বিরুদ্ধে বল করা ছিল খুব চ্যালেঞ্জিং। ও তো কিংবদন্তি।’
No comments:
Post a Comment