এই মুহূর্তে ইস্ট বেঙ্গলের থেকে লাজং বিপজ্জনক দল: সঞ্জয়
বেলা বারোটায় প্রায় ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও মোহন বাগান মাঠে অনুশীলন করলেন লাজং এফ সি’র ফুটবলাররা। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের বদান্যতায় তারা অ্যাওয়ে ম্যাচটি আগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। আই লিগে সাত নম্বরে শেষ করায় তাদের এই সুবিধা পাওয়া উচিত ছিল না।
এরপর ফেড কাপের সূচির জন্য টানা পাঁচ দিন কলকাতায় আছে পাহাড়ের এই দলটি। আবহাওয়ার সঙ্গে ছেলেরা যাতে মানিয়ে নিতে পারেন তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত কোচ থংবই সিংটো। সোয়া বারোটার সময়ে মোহন বাগানের গেটের সামনে বাসে ওঠার মুখে সিংটো গোদা বাংলায় বললেন, ‘এই গরম আর আর্দ্রতার মধ্যেও ছেলেরা দাঁড়িয়ে পড়েনি। আমার দলে রবিবারের সন্ধ্যায় অনূর্ধ্ব- ২২ এজ গ্রুপের ছয়- সাত জন ফুটবলার থাকবে। এই গতিটাই দলের সম্পদ।’
ঘটনা হল, গত তিনটি ম্যাচে তারুণ্যের রথে চেপে লাজং দলটি গত ১২ দিনে দুই বার ইস্ট বেঙ্গলকে হারিয়েছে। এবং অপর ম্যাচটি ড্র করেছে। কিন্তু গত বুধবার ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে লাজংয়ের রক্ষণের নিয়মিত চার জনের মধ্যে তিনজনই ছিলেন না। লাজংয়ের ওই ভঙ্গুর রক্ষণের বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল কেন ঘরের মাঠে জিততে পারল না তা ঈশ্বরই জানেন! হয়তো লাজংয়ের গতির বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গলের ‘বৃদ্ধাশ্রমের সৈনিক’রা পাল্লা দিতে পারেনি। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের তুলনায় এবারের মোহন বাগানের গড় বয়স কম। দলে ভারসাম্য বেশি। সনি-কাটসুমির মতো গতিময় ফুটবলার রয়েছে। বিদেশি ডিফেন্ডার ইউসুকে চোটের জন্য লাজং দলে অনেক দিনই নেই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আইবর সিং এবং রবিন সিংয়ের না থাকা। আইবরের থেকেও এবার বেশি সপ্রতিভ ছিলেন রবিন গুরুং। ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে লাল কার্ড দেখায় তিনি বুধবার সাসপেন্ড ছিলেন। ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে দুই ম্যাচ সাসপেন্ড করায় রবিবারও তিনি নেই। তাই হোম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে ফেড কাপ ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করা উচিত মোহন বাগানের। আজ রাতে বারাসতে মোহন বাগানই ফেবারিট। আজ লাজং ডিপ ডিফেন্সে খেলবেন নিম দোরজি তামাং এবং চিংলেনসানা সিং খুনসাম। দুইজনের বয়সই অনূর্ধ্ব-২২। তাই আজ বারাসত স্টেডিয়ামে গ্লেন-জেজেরা ‘গোলফিস্টে’ মেতে উঠলে অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই। উল্লেখ্য, আই লিগে ১৬ ম্যাচে ২৩ গোল খেয়েছে লাজং। আই লিগের মাঝপথে ইউসুকে চোট পাওয়ায় পাহাড়ী দলটি ঝামেলায় পড়েছে।
কর্নেল গ্লেন পুরো ফিট। জেজের সঙ্গে তিনিই শুরু করবেন স্ট্রাইকারে। সনি আর কাটসুমির প্রান্তিক দৌড় স্যামুয়েল- আইজ্যাকরা কতটা সামলাবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। সিংটো তো একবার বলেই দিলেন, ‘মোহন বাগান আক্রমণে গভীরতা প্রচন্ড। সনি, কাটসুমি, না গ্লেন আর জেজে কাকে ধরব তা নিয়ে আমি ধন্দে। চমৎকার ছন্দে আছে মোহন বাগান। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে এখন বেঙ্গালুরু এফ সি’ই ভারত সেরা দল, কিন্তু মোহন বাগান যেন তার চেয়েও আগ্রাসী।’
তবে রক্ষণ নিয়ে ঝামেলা থাকলেও মোহন বাগানের মতোই লাজং এফ সি’তে আছে ‘ত্রিফলা’। মরশুম যত এগচ্ছে ততই পেন ¬- ফ্যাবিও পেনা- উইলিয়ামসের বোঝাপড়া প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে। পেনই লাজং দলের আক্রমণের প্রাণ ভোমরা। পেনকে রুখতে প্রথম একাদশে লেনির সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে প্রণয় হালদারকে। কারণ মোহন বাগান কোচ সঞ্জয় সেন জানালেন, ‘কোনও ভাবেই গোল হজম করা যাবে না। ১-০ গোলে জিতলেও আমি খুশি। তবে আমরা আই লিগে দুই বার ওদের হারাতে পারিনি। শিলংয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খেলা শেষ হওয়ার ৩৯ সেকেন্ড আগে উইলিয়ামস গোল করে সমতায় ফেরায়। এই মুহূর্তে ইস্ট বেঙ্গলের থেকে লাজং অনেক শক্তিশালী দল। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রোজ রোজ তিন- চার গোল করা যায় না।’ তাই হয়তো সঞ্জয় সেন অনুশীলনে সেট পিসের উপর জোর দিলেন। তিনি ধরেই নিয়েছেন তিন জন নিয়মিত ডিফেন্ডার না থাকায় গোলমুখ জ্যাম করে পেন- পেনার মারফত লাজং দ্রুত প্রতি আক্রমণে যাবে।
ইডেনে ১৯৮০ সালের ফেড কাপ ফাইনাল রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন হয়েছিল মোহন বাগান- ইস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ৩৬ বছর পর আবার বিশ্ব কবির জন্মদিনে ফেড কাপে মোহন বাগানের ম্যাচ। সেদিন ১-১ গোলে ড্র করে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য-প্রসূন ব্যানার্জিরা। দুই দলের যা শক্তি তাতে আজ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে মসৃণভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিত মোহন বাগানের।
এরপর ফেড কাপের সূচির জন্য টানা পাঁচ দিন কলকাতায় আছে পাহাড়ের এই দলটি। আবহাওয়ার সঙ্গে ছেলেরা যাতে মানিয়ে নিতে পারেন তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত কোচ থংবই সিংটো। সোয়া বারোটার সময়ে মোহন বাগানের গেটের সামনে বাসে ওঠার মুখে সিংটো গোদা বাংলায় বললেন, ‘এই গরম আর আর্দ্রতার মধ্যেও ছেলেরা দাঁড়িয়ে পড়েনি। আমার দলে রবিবারের সন্ধ্যায় অনূর্ধ্ব- ২২ এজ গ্রুপের ছয়- সাত জন ফুটবলার থাকবে। এই গতিটাই দলের সম্পদ।’
ঘটনা হল, গত তিনটি ম্যাচে তারুণ্যের রথে চেপে লাজং দলটি গত ১২ দিনে দুই বার ইস্ট বেঙ্গলকে হারিয়েছে। এবং অপর ম্যাচটি ড্র করেছে। কিন্তু গত বুধবার ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে লাজংয়ের রক্ষণের নিয়মিত চার জনের মধ্যে তিনজনই ছিলেন না। লাজংয়ের ওই ভঙ্গুর রক্ষণের বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল কেন ঘরের মাঠে জিততে পারল না তা ঈশ্বরই জানেন! হয়তো লাজংয়ের গতির বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গলের ‘বৃদ্ধাশ্রমের সৈনিক’রা পাল্লা দিতে পারেনি। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের তুলনায় এবারের মোহন বাগানের গড় বয়স কম। দলে ভারসাম্য বেশি। সনি-কাটসুমির মতো গতিময় ফুটবলার রয়েছে। বিদেশি ডিফেন্ডার ইউসুকে চোটের জন্য লাজং দলে অনেক দিনই নেই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আইবর সিং এবং রবিন সিংয়ের না থাকা। আইবরের থেকেও এবার বেশি সপ্রতিভ ছিলেন রবিন গুরুং। ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে লাল কার্ড দেখায় তিনি বুধবার সাসপেন্ড ছিলেন। ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে দুই ম্যাচ সাসপেন্ড করায় রবিবারও তিনি নেই। তাই হোম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে ফেড কাপ ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করা উচিত মোহন বাগানের। আজ রাতে বারাসতে মোহন বাগানই ফেবারিট। আজ লাজং ডিপ ডিফেন্সে খেলবেন নিম দোরজি তামাং এবং চিংলেনসানা সিং খুনসাম। দুইজনের বয়সই অনূর্ধ্ব-২২। তাই আজ বারাসত স্টেডিয়ামে গ্লেন-জেজেরা ‘গোলফিস্টে’ মেতে উঠলে অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই। উল্লেখ্য, আই লিগে ১৬ ম্যাচে ২৩ গোল খেয়েছে লাজং। আই লিগের মাঝপথে ইউসুকে চোট পাওয়ায় পাহাড়ী দলটি ঝামেলায় পড়েছে।
কর্নেল গ্লেন পুরো ফিট। জেজের সঙ্গে তিনিই শুরু করবেন স্ট্রাইকারে। সনি আর কাটসুমির প্রান্তিক দৌড় স্যামুয়েল- আইজ্যাকরা কতটা সামলাবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। সিংটো তো একবার বলেই দিলেন, ‘মোহন বাগান আক্রমণে গভীরতা প্রচন্ড। সনি, কাটসুমি, না গ্লেন আর জেজে কাকে ধরব তা নিয়ে আমি ধন্দে। চমৎকার ছন্দে আছে মোহন বাগান। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে এখন বেঙ্গালুরু এফ সি’ই ভারত সেরা দল, কিন্তু মোহন বাগান যেন তার চেয়েও আগ্রাসী।’
তবে রক্ষণ নিয়ে ঝামেলা থাকলেও মোহন বাগানের মতোই লাজং এফ সি’তে আছে ‘ত্রিফলা’। মরশুম যত এগচ্ছে ততই পেন ¬- ফ্যাবিও পেনা- উইলিয়ামসের বোঝাপড়া প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে। পেনই লাজং দলের আক্রমণের প্রাণ ভোমরা। পেনকে রুখতে প্রথম একাদশে লেনির সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে প্রণয় হালদারকে। কারণ মোহন বাগান কোচ সঞ্জয় সেন জানালেন, ‘কোনও ভাবেই গোল হজম করা যাবে না। ১-০ গোলে জিতলেও আমি খুশি। তবে আমরা আই লিগে দুই বার ওদের হারাতে পারিনি। শিলংয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খেলা শেষ হওয়ার ৩৯ সেকেন্ড আগে উইলিয়ামস গোল করে সমতায় ফেরায়। এই মুহূর্তে ইস্ট বেঙ্গলের থেকে লাজং অনেক শক্তিশালী দল। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রোজ রোজ তিন- চার গোল করা যায় না।’ তাই হয়তো সঞ্জয় সেন অনুশীলনে সেট পিসের উপর জোর দিলেন। তিনি ধরেই নিয়েছেন তিন জন নিয়মিত ডিফেন্ডার না থাকায় গোলমুখ জ্যাম করে পেন- পেনার মারফত লাজং দ্রুত প্রতি আক্রমণে যাবে।
ইডেনে ১৯৮০ সালের ফেড কাপ ফাইনাল রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন হয়েছিল মোহন বাগান- ইস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ৩৬ বছর পর আবার বিশ্ব কবির জন্মদিনে ফেড কাপে মোহন বাগানের ম্যাচ। সেদিন ১-১ গোলে ড্র করে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য-প্রসূন ব্যানার্জিরা। দুই দলের যা শক্তি তাতে আজ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে মসৃণভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিত মোহন বাগানের।
No comments:
Post a Comment